ভোরের খবর ডেস্ক: গত সাত দিন ধরে রাশিয়ার ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ার বড় দুটি অঞ্চল দখলের দাবিও করেছে কিয়েভ। ইউক্রেনের সেনারা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৫৩০ কিলোমিটার এলাকা দখলে নিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এতে মস্কোর প্রতিরক্ষা লাইন কিছুটা হলেও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।এতে বলা হয়, দুই বছরের বেশি সময় আগে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর এই প্রথম শত্রুর ভূমিতে এত বৃহৎ আকারে পাল্টা অভিযান পরিচালনা করছে কিয়েভ। এতে বেশ আশ্চর্য হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, সম্ভাব্য একটি আলোচনার আগে কিয়েভের এই হামলা আশ্চর্যের। কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের ছোঁড়া ১২টি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেছেন, তাদের ১২টি যুদ্ধবিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটে ওই অঞ্চলে এক ডজন ড্রোন ধ্বংস করেছে।কুরস্ক এবং বেলগোরোডে রুশ কর্মকর্তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কবার্তা দিয়েছেন।বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়েভ দাবি করেছে তারা রাশিয়ার ১০০০ কিলোমিটার এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে। তবে রাশিয়া বলছে কিয়েভ যা দাবি করেছে তার অর্ধেকের কম এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছে। রাশিয়ার ভূখণ্ডে টানা সাত দিন ধরে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হামলা চালানোর পরে সে প্রসঙ্গে মুখ খুলে বড় ধরনের সাফল্য দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে সোমবার তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার ভূখণ্ডে ঢুকে আক্রমণ চালাচ্ছে।’ইউক্রেনের হামলায় কুরস্ক অঞ্চল থেকে বেসামরিক লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অঞ্চলটির গভর্নর। তিনি পুতিনকে জানিয়েছেন, হামলার পর এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে এখনও অঞ্চলটিতে দুই লক্ষাধিক বেসামরিক লোক অবস্থান করছে যাদের সরিয়ে নেয়ার তৎপরতা চলছে। সেখানের জনগণকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে কীভাবে কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনারা প্রবেশ করতে সক্ষম হলো, তা নিয়ে রাশিয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলেছেন রাশিয়াপন্থী ব্লগার ইউরি পোডোলিয়াক।