নিজস্ব প্রতিনিধি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ফোনালাপের পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত বিবৃতিতে বাংলাদেশ সংকটের কোনো উল্লেখ নেই। যা হোয়াইট হাউস এবং ঢাকার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জল্পনাকে উসকে দিয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শুরু করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এরকম একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাদের ফোনালাপে উঠে আসে বাংলাদেশে থাকা হিন্দুদের প্রসঙ্গও। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন নমো নিজে। নয়াদিল্লির বিবৃতিতেও এমনটাই জানানো হয়েছে। কিন্তু দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনার পর আমেরিকার তরফে বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কিছুর উল্লেখই করা হয়নি। বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়েছে হোয়াট হাউস। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বাইডেন ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি’ নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়ে কোনো কথার উল্লেখ না করে শুধুমাত্র ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির সাম্প্রতিক পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সফরের পাশাপাশি সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেছেন দুই নেতা। হোয়াইট হাউসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন পোল্যান্ড এবং ইউক্রেনে তার ঐতিহাসিক সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা করেছেন। ইউক্রেনের জন্য শান্তি ও মানবিক সমর্থনের বার্তার জন্য তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মূলত বাংলাদেশের সঙ্কটের বিষয়ে নীরব রয়েছে । সরকারি চাকরিতে কোটা সিস্টেমের বিরোধিতায় কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সহিংসতায় বাংলাদেশে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন, যার জেরে হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এই ঘটনার পর মার্কিন সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে এমন অভিযোগও ওঠে- যদিও আমেরিকা তা অস্বীকার করে । যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাসিনা সরকারের সম্পর্ক টানাপোড়েন ছিল। সংকটের মধ্যে, বাংলাদেশি মিডিয়া হাসিনার একটি অপ্রকাশিত বক্তৃতা প্রকাশ করেছে যেখানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে একটি নৌ ঘাঁটি স্থাপন করতে চাপ দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। সেন্টমার্টিন দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করলে তার সরকার বেঁচে যেত বলে অভিযোগ করেন হাসিনা। তবে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ এ ধরনের কোনো কথা অস্বীকার করেছেন। বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত এই দ্বীপটির অপরিসীম কৌশলগত মূল্য রয়েছে কারণ এটি চীনের প্রভাব মোকাবেলা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।