নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবির বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘দেশে এত বড় গণ–আন্দোলন হলো, যার মাধ্যমে ১৬–১৭ বছর ধরে জেঁকে বসা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। এ রকম জায়গা থেকে আহ্বান আসার পর প্রধান বিচারপতির কী করা উচিত, সেটা তার ওপর ছেড়ে দিলাম।’অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ শনিবার সচিবালয়ে অফিস শুরু করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা ডাকার পরে স্থগিত প্রসঙ্গে মতামত জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছিলেন। ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আমি একটি স্ট্যাটাস দেখেছি, আসিফ মাহমুদ বলেছে উনি কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি। মনে করা হচ্ছে, এটি স্বৈরাচারী পরাজিত শক্তির পক্ষের একটি মুভ।’এর আগে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের আজ শনিবার দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এদিন বেলা ১১টায় হাইকোর্ট চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এ আল্টিমেটাম দেন।প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছে।প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি ওই পোস্টে আরও বলেন, ‘অনতিবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।’এর আগে চলমান পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিদের নিয়ে ফুল কোর্ট সভা ডাকেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভার্চুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।