নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ২৯শে জুলাই কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন জায়গা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। শিক্ষার্থীদেরকে নিতে রাত দেড়টার দিকে থানায় হাজির হন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৬ শিক্ষক। এ সময় তাদের জিম্মায় ১৫ শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর আগে ছেড়ে দেয়া হয় আরো দুই শিক্ষার্থীকে। এসময় শিক্ষার্থীদের থেকে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের আইনবিরোধী কর্মকান্ডে যুক্ত না হওয়ার অঙ্গিকার নেয়া হয়। শিক্ষকরা হলেন- আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ড. তোজাম্মেল হোসেন, ড. কামরুল হাসান, ড. রফিকুল ইসলাম, আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ড. আকতার হোসেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. আব্দুল বারী এবং দাওয়াত অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ড. মাসউদ আল মাহদী।এদিকে সোমবার বিকেলে ইবি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করে শিক্ষার্থীসহ মোট ৩০ জনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে তাদের সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুল আলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।জানা গেছে, সোমবার বিকেল তিনটায় কুষ্টিয়ার চৌড়হাসে বিভিন্ন দাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। এসময় চৌড়হাস থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত বাস টার্নিমালে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে তারা আর সংঘবদ্ধ হতে পারেননি।আগে থেকেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ, বিজিবি টহল দিচ্ছিল। আন্দোলনকারী সন্দেহে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ৩০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও যে কোনো বিপদে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। ইবি প্রক্টর ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান থেকে তাদেরকে ছাড়ানোর বিষয়ে গোপনে ভূমিকা পালন করেছি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশাসনের বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে আমরা ফোনে কথা বলেছিলাম।