ঢাকামঙ্গলবার , ৯ জুলাই ২০২৪

ভালুকায় বনাঞ্চল ধ্বংসের বহুমুখী কর্মযজ্ঞ চলছে


জুলাই ৯, ২০২৪ ৫:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠেছে নামে-বেনামে অবৈধ করাতকল বা স’মিল।  অবৈধ এসব করাতকলের দাপটে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য।  পরিবেশ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র কিংবা লাইসেন্সও নেই এসব করাতকলের।উপজেলা বন বিভাগের তথ্যমতে, ভালুকায় করাতকল ৭৩ টির মধ্যে অনুমোদন আছে ১২ টি বাকি গুলি চালাচ্ছে অবৈধভাবে মাসোহারা দিয়ে।  করাতকল (লাইসেন্স) বিধিমালা-২০১২ আইনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, কোন ব্যক্তি লাইসেন্স ব্যতীত কোনো করাত-কল স্থাপন বা পরিচালনা করতে পারবেন না।  পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বনের মধ্যে এই করাতকল স্থাপনের ব্যাপারে আপত্তি তুলেছেন।  উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মিল মালিকরা সরকারি কোন নিয়ম মানছেন না।বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন আইন অনুযায়ী কোনো করাতকল মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না।  লাইসেন্স নেওয়ার পর প্রতিবছর নবায়ন করতে হবে। করাতকল স্থাপনের জন্য বন বিভাগের লাইসেন্স পাওয়ার পর পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও ছাড়পত্র নিতে হয়।
উপজেলার বিভিন্ন করাতকল ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই চলছে অনেক করাতকল।  এসব করাতকল চত্বরে গেলে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মজুত করে রাখা হয়েছে।  ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব করাতকলে বিরামহীন চলে কাঠ কাটার কাজ।জানা গেছে, অবৈধ করাতকলগুলোতে সরকার নির্ধারিত কোনো আইন ও নীতিমালা মানার কোনো বালাই নেই।  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়ে থাকে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার লাইসেন্স করতে বলা হলেও প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেদার চলছে অবৈধ করাত কল।অবৈধ করাতকলের জন্য বনাঞ্চলের কোন গাছপালা রক্ষা করা যাচ্ছে না।  তাই জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। করাতকল বিধিমালা, ২০১২-এ বলা আছে, জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে এমন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না।  তবে এই নিদের্শনা কেউ মানছে না।  যত্রতত্র বসানো হয়েছে করাতকল।  দিনে রাতে প্রকাশ্যে চেড়াই করা হচ্ছে গজারি, সেগুনসহ বিভিন্ন ফলজ প্রজাতির গাছ। এ যেন বনাঞ্চল ধ্বংসের হিড়িক পড়ে গেছে ‌‌।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, তাঁরা উচ্ছেদ অভিযানের জন্য ইউএনও, থানাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন।  জনবল সংকট থাকায় বনাঞ্চল ও বনভূমি রক্ষা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।  যথেষ্ট আর্মস না থাকার কারনটাও ইস্যু করেন তিনি।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com ❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।