ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বাজার গোপালপুর স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মঈন উদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই।শিক্ষক মঈন ২০/০৪/১৯৯৩ ইং তারিখে সহকারি শিক্ষক হিসাবে এবং১০/০৪/২০১০ ইং তারিখে এম,এ পাশের সনদ দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে পদন্নোতি লাভ করেন।এখানে উল্লেখ্য মাস্টার্সের জন্য ২০২০ সালে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে দাওয়া এ্যান্ড ইসলামিক স্ট্যাডিজে ভর্তি হন,পাশ করেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে।তাহলে ২০০৯ সালে এম এ পাশের সনদটি কি ছিল? যাহোক প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নিয়োগ বানিজ্য,স্কুলফান্ডের টাকা খরচে হিসাব মেইনটেইন না করা,বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দপ্তরিক কাজ সম্পাদন করা, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচারে জালিয়াতি শিক্ষকদের এমপিও তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য অতিরিক্ত টাকা দাবি,স্কুলের জায়গায় মার্কেট নির্মান করে এ্যাডভান্স এবং ভাড়ার টাকা স্কুল ফান্ডে জমা না করা সহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক মঈনের বিরুদ্ধে।গত ১২/০৫/২০২৪ ইং তারিখে বাজার গোপালপুর স্কুল এ্যান্ড কলেজের এ্যাডহক কমিটির নতুন সভাপতি যোগদানের পর থেকে একের পর এক সেখানে কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে এসব অনিয়মের তথ্য উঠে আসে।২০১৫ সালে স্কুলের তৎকালীন সভাপতি সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ জর্দ্দারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কয়েকজন শিক্ষকের অষ্টম শ্রেনীর খ শাখায় নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।সেই নিয়োগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয় ১৩/১০/২০১৫ ইং তারিখের দৈনিক মানবজমিন এবং নবচিত্র পত্রিকায়।কিন্তু পরবর্তীতে খোজ নিয়ে দেখা যায় পত্রিকা দুটির মূল প্রকাশনা সংখ্যায় এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হয়নি।সম্প্রতি লিপিকা খাতুন শিক্ষিকা( সমাজবিজ্ঞান) লিখিত অভিযোগে জানান ২১/০৯/২০১৫ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের ৮ ম শ্রেনীর খ শাখায় সৃষ্ট শূন্য পদে সহকারি শিক্ষক পদে যোগদান করি।যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত আমি প্রধান শিক্ষকে বিভিন্ন এনজিও,ব্যাংকলোন ও জমি বিক্রয় করে ১৭,৪০০০০/ সতের লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা প্রদান করি।দীর্ঘ আট বছর নয় মাস বিনাবেতনে বিদ্যালয়ে পাঠদান করি।কিন্তু কথা ছিল একদিনও বিনাবেতনে কাজ করা লাগবেনা।দীর্ঘসময় বিনাবেতনে কাজ করার পরেও আমার এমপিও হয়নাই,অথচ আমার একদিন পরে যারা যোগদান করেছে তাদের সকলেরই এমপিও হয়েছে এবং বেতন হয়েছে।একই নিয়োগ বোর্ডের অন্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও আমারটা হয়নি,অতএব আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি,আমি এই প্রতারনার সুবিচার দাবী করছি।শিক্ষক মঈনের সাথে এতসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিন সকল অভিযোগের কথা স্বীকার করেন এবং নিউজ না করতে অনুরোধ করেন।