ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার অচিন্তানগর গ্রামের মালেশিয়া প্রবাসী ইমদাদুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা খাতুন দীর্ঘ এগারো বছর সংসার করার পর একই গ্রামের মিনহাজের ছেলে রিয়াজের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এভাবেই চলতে থাকে দুই বছরের ঘনিষ্ঠ পরকীয়া র সম্পর্ক । খাদিজা খাতুনের স্বামী মালেশিয়া প্রবাসী ইমদাদুলের আট বছর প্রবাস থেকে পাঠানো সব টাকা, বিশ্বাস করে তিনি তার স্ত্রী খাদিজা খাতুনের কাছে পাঠান। এভাবেই একে একে আটটি বছরে আনুমানিক প্রায় ৩২লক্ষ টাকা তার স্ত্রীর কাছে পাঠায়। কিন্তু স্ত্রী খাদিজা খাতুন সেই টাকা গুলোর কোনো হিসাব পরিবারকে দিতে না পারলে পরিবারের লোকজন তাকে এক প্রকার সন্দেহের চোখে দেখে । এরপর থেকেই পরিবারের লোকজন খাদিজা খাতুন টাকা গুলো কি এমন করছে? পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি কয়েক মাস ধরে উদঘাটন করার চেষ্টা চালায় । ঠিক এভাবেই বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেলে ইমদাদুলের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাগুরা কাজী অফিসে গিয়ে রিয়াজ এবং খাদিজা খাতুনের বিবাহের কাবিননামা উদ্ধার করে। কাবিননামা দেখে রফিকুল ইসলাম আশ্চর্যজনক হয়ে পড়েন। বিষয়টি গনমাধ্যকে অবগত করেন। রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যম কে জানায় আমার ভাইয়ের পাঠানো অর্থ সবটাই খাদিজা এবং রিয়াজ দুজনে মিলেই প্রতরণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় । গণমাধ্যম কর্মী বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রবাসী ইমদাদুলের সাথে ইমোযোগে কথা বলেন। ইমদাদুল ইসলাম গণমাধ্যম কে জানায়, আমি বিগত আট বছর প্রবাসে থাকি, আমার আটটি বছরের উর্পাজনের প্রায় ৩২-৩৫লক্ষ টাকা আমার বাবার সাথে সংসার পৃথক হওয়াই সব অর্থ আমি আমার স্ত্রীর কাছে পাঠাই। আমি কখনো বিষয়টি বুঝতে পারি নাই, আমার স্ত্রী আমার চোখ ফাকি দিয়ে প্রতরণা করবে। তাই আমি বিষয়টি প্রতারক রিয়াজ ও খাদিজার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি এবং আমার আট বছরের শিশু কন্যা হাফসা কে আমি ফেরত চাই । এ বিষয়ে মাগুরা সদর উপজেলার, পাকা কাঞ্চনপুর গ্রামে খাদিজার বাবার বাড়িতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে, খাদিজা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অস্বীকার করেন এবং সাংবাদিকদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং খাদিজার মা বলেন, আমার জামাই ইমদাদুলের সাথে আমার মেয়ের কোনো ঝামেলা নেই। এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে চাইলে সে জানায়, খাদিজার দুইটা স্বামী এই বিষয়টি আমি সকালে জানতে পাই। তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিতে এইটা বড় একটা অপরাধ । এদের মতো মানুষের কঠিনতম শাস্তি হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি। এবিষয়ে পরকীয়া প্রেমিক রিয়াজের সাথে কথা বলতে চাইলে রিয়াজ কথা না বলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায়, অচিন্তানগর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম জানায়, এই রিয়াজ এর আগেও একটা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় সেই বউ অনেক কষ্টের কারণে বাড়ি থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয় এবং তাকে তালাক দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে আরেকটি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়ে এমনকি তার সাথে ও দুর্ব্যবহার করে আসছে। এই রিয়াজের কারণে এরকম গোটা তিন-চারটা পরিবারের সুখ-শান্তি ধ্বংস হয়েছে। তাই আমরা গ্রামবাসী, এই প্রতারক রিয়াজের কঠিন থেকে কঠিনতম বিচার চাই, যাতে করে এই প্রতারক রিয়াজকে দেখে অন্যরা এরকম প্রতারণা করার সাহস না পায়।