জেলা প্রতিনিধিঃ ঘটনাটি ঘটেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোবিন্দপুর গ্রামে।সংবাদের ভিত্তিতে গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টা জানতে চাইলে স্ত্রী পূজা কুন্ডু জানান, শ্রী তন্ময়ের সাথে আমার চার বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ছয় মাস আগে হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের কড়াইতলা কালী মন্দিরে আমাকে নিয়ে গিয়ে হিন্দু শাস্ত্রের মতে শাঁখা সিঁদুর পরিয়ে আমাকে বিয়ে করে। এরপর আমার সাথে অনেকবার বিভিন্ন স্থানে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।গত ইং১৬-০৭-২০২৪ তারিখে আমার স্বামী শ্রী তন্ময় কুমার আমাকে তার বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাটগোপালপুর নামক স্থানে আসতে বলে। আমার বাবা বেঁচে না থাকায় , আমি আমার মাকে জানিয়ে আমার স্বামী তন্ময়ের কথা মতো হাট গোপালপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এমত অবস্থায় হাটগোপালপুর বাজারে পৌঁছে , আমি আমার স্বামী তন্ময়ের সাথে একাধিকবার ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ পাই। তার ফোনটি বন্ধ থাকায় ,তখন আমি আমার স্বামী তন্ময়ের বাড়িতে আসতে বাধ্য হয়। তন্ময়ের বাড়িতে এসে স্ত্রীর পরিচয় দিলে, তখন আমাকে তার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।আমি তখন অনেক কান্নাকাটি করায় তন্ময়ের কাকা পরিচয়ে শ্রী রমেশ কুমারের বাড়িতে আমাকে আশ্রয় দেয়।এরপর আমার বাড়িতে অবগত করলে আমাদের গ্রামের মাতব্বর বর্গ এবং আমার ভাই তন্ময় এর বাড়িতে আসে। তখন আমার শাশুড়ি রমেশের বাড়ি থেকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে এবং উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে আামকে তার পুত্রবধু হিসেবে মেনে নিয়ে তন্ময়ের শয়নকক্ষে থাকার অনুমতি দেয়।এ বিষয়টি জানতে পেয়ে পরদিন সকালে তন্ময়ের একমাত্র দুলাভাই বাড়িতে এসে তন্ময়ের সাথে বিবাহের এ বিষয়টি অস্বীকার করে আমাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে।এ বিষয়টি আমি আমার পরিবারকে অবগত করলে আমার পরিবার এসে আমাকে উদ্ধার করে।আমি আজ নির্যাতিত,অসহায় হয়ে প্রশাসনের কাছে আমার একটাই দাবি আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।এ বিষয়টা নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং শ্রী তন্ময়কে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তির দাবি করেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭