ফরহাদ হোসাইন (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে ভেন্টিলেটর ভেঙে সৌদি প্রবাসীর বাসায় ডাকাতি করতে ঢুকে নাজমুন নাহার (৫০) নামে এক নারীকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বেলা ১১টায় প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি দৈনিক ভোরের খবরকে নিশ্চিত করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন।এর-আগে, গভীর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের (৬নং ওয়ার্ড) পশ্চিম চরমনসা গ্রামের আদায়কারী নূরু মাস্টার বাড়ির (প্রবাসী) নূরউজ্জামানের ঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে দুষ্কৃতকারী চক্র। লুটপাট করে তার স্ত্রীকে হত্যা করে।নিহত নাজমুন নাহার সৌদিআরব (প্রবাসী) নূরউজ্জামানের স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানের জননী। তিনি একাই বসবাস করতেন ঘরে। তার বাড়ি থেকে একটু অদূরে বসবাস করে সৎ ছেলের স্ত্রী ইতি আক্তার। পুত্রবধূ ইতির সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল না। সৎ ছেলে ফারুক ও সৌদি আরব থাকেন।জানা গেছে, প্রবাসী নূরউজ্জামানদের সবকিছুই মেঘনা নদীর ভাঙনে তলিয়ে গেছে। তারা এক যুগের বেশি ধরে চরমনসা গ্রামে জমিজমা কিনে বসবাস করে আসছে। স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের ভালো সুসম্পর্ক রয়েছে। হঠাৎ দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীর স্ত্রী নাজমুন নাহার শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি পাসপোর্ট করছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত যাবেন। কয়েকদিন আগে তার স্বামী নুরুজ্জামান টাকা পাঠালেন ভারত যাওয়ার জন্য। সেই টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে ঘরে এনে রাখছেন।ধারণা করা হয়েছে দুষ্কৃতকারী চক্র টাকা ও স্বর্ণালংকারের লোভে সোমবার দিবাগত রাতে ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে দুষ্কৃতকারী চক্র।নিহতের ছোট ভাই মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ৫টার খবর প্রায় আমার বোনকে কে-বা কারা হত্যা করছে। এসে দেখি আমার বোনের দুইহাত টেবিলের সঙ্গে বাঁধা। দুই-পা ও বাঁধা। মুখে ভেতর ওড়না ঢুকিয়ে ঢুকানো অবস্থা। আমরা এ হত্যা কান্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।নিহতের বড় মেয়ে বিবি আছমা বলেন, তার মা ঘরে একাই বসবাস করতেন। মায়ের সঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় ভিডিও কলে কথা বলছেন। শারীরিকভাবে তার মা অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্য ভারত যাওয়ার কথা ছিল মাকে নিয়ে। এজন্য ঘরে টাকা এনে রাখছেন। খুনিরা স্বর্নলংকার, টাকা ও বাড়ীর কাগজপত্র নিয়ে গেছে। আমরা এ খুনের বিচার দাবি করছি।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। কি কারণে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে এ বিষয়টি তদন্ত চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দল রয়েছে।