ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: কোটচাঁদপুর উপজেলার ৪ নং বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলামের পরিবার এর কাছে এলাকার সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিনের কাজই যেন হামলা মামলা হুমকি ধামকি।গত(১১ই-জুলাই) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় উপজেলার বলুহর ভাটামতলা বাজার এলাকায় বিদ্যাধরপুর গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মৃত আলী মন্ডলের ছেলে আসাদুল (৫৫) আব্দুর রাজ্জাক মাষ্টার,রাজ্জাক মাষ্টার এর ছেলে আমিনুর ইসলাম,মৃত কাশেম মন্ডল এর ছেলে মফিজুর ইসলাম ও এরশাদ এর চায়ের দোকানে বসে থাকা মৃত জামাত আলীর ছেলে সুন্নত আলী’কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করে।তালতলা বিলের জমি অনেক আগ থেকে নজু চেয়ারম্যান ও তার পরিবার বিলের জমি বেশি করে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে আসছিলেন। তালতলা বিলের জমি স্থানীয় আমিন দ্বারা মেপে নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান এর পুকুরের মাঝামাঝি পেয়ে যায় মৃত আলী মন্ডল এর সন্তানরা। তাঁরা আইনকে শ্রদ্ধা করে একটি দরখাস্ত আবেদন করেন,কোটচাঁদপুর অতিরিক্ত সার্কেল মহোদয়ের কাছে। উল্লেখ্য আপোষ নামায় উল্লেখ করা হয় সার্কেল অফিসে অনুষ্ঠিত মীমাংসায় উভয় পক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নালিশি জমির পুকুরের মধ্যে বাদী প্রাপ্য জমির অংশ বিবাদী বুঝিয়ে দিবেন।নালিশি জমির পুকুরের তা বাদী পক্ষ আগামী ২০/৭/২০২৪ ইং তারিখের মধ্যে নিজ দায়িত্বে জেলে দিয়ে মাছ ধরে বিবাদীর পুকুরের অংশ নিরাপদে ছেড়ে দিবেন এবং দুই অংশের মাঝখানে বাঁশের বেড়া এবং মাটির বাঁধ দিয়ে উঁচু করে দিবেন।উক্ত বিষয় নিয়ে বাদী-বিবাদী কোন পক্ষের কোন আপত্তি নাই এবং এ বিষয় নিয়ে কোন আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন সৃষ্টি হবে না।কোন ধরনের আইন-শৃঙ্খলার বিঘ্ন সৃষ্টি হলে উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। আপোষ নামায় আরো উল্লেখ করা হয়। আমরা উভয় পক্ষ স্বজ্ঞানে,সুস্থ মস্তিষ্কে এই আপসনামায় সই-স্বাক্ষর করিলাম। মৃত আলী মন্ডলের সন্তানরা স্থানীয় আমিন দিয়ে সীমানা করে পুকুরের পাড় বাঁধার জন্য ভেকু নিয়াসলে নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান এর ভাইরা বাঁধা দেয়। একই দিনে মৃত আলী মন্ডল এর সন্তানরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিকালে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যান। কাছ থেকে ফেরার পথে ভাটামতলা নামক স্থানে পৌঁছালে অতর্কিত হামলা চালাই নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যানের ভাইরা।স্থানীয়রা উদ্ধার করে উক্ত রক্তাক্ত জখমদের কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রক্তাক্ত জখম হওয়ায় আসাদুল এর স্ত্রী মোছাঃ মর্জিনা খাতুন (৫০)বাদী হয়ে নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান সহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ৫ জনকে অজ্ঞাত করে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। শুধু এলাকায় সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি নয়,গণমাধ্যম কর্মীগনও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়না।গণমাধ্যম কর্মীরা চেয়ারম্যানের কাউন্সিলে গ্রাম পুলিশে চাকরি দেওয়ার বিষয় ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করায় ঐ একই জায়গায় ভাটামতলায় তার ভাই ইয়ারুল ইসলাম গতিপথ রোধ করে হত্যার হুমকি ধামকি দেয়।তারই পরিপেক্ষিতে দেলোয়ার হোসেন নামের গণমাধ্যম কর্মী কোটচাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।এরপর চেয়ারম্যান ঐ গণমাধ্যম কর্মী সহ স্বাধীন মতামত প্রদান করা স্বাক্ষীদের নামে মিথ্যা হয়রানি মূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে খুলনা ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে হতে হয় হামলা মামলা’র শিকার।তেমনটাই মামলা হামলার শিকার হয় একই পাড়া ও গ্রামের ভুক্তভোগী বলুহর ইউনিয়ন এর হাড়ভাঙা বিদ্যাধরপুর গ্রামের মোঃ বাবলুর রহমান পিতা মতিয়ার রহমান জানান,বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম এর পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি।চেয়ারম্যানের পরিবারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে গেলে হতে হয় শারীরিক নির্যাতনের শিকার। কেউবা হয় মামলার আসামি। তেমনটাই জানিয়ে দুচোখের পানি গড়িয়ে পড়ে দুচোখ দিয়ে। বলেন চেয়ারম্যান এর পরিবারের তারই ছোট ভাই মোঃ ইয়ারুল ইসলাম পিতা মৃত লালচাঁদ মন্ডল একই গ্রামের পাশের বাড়ি আমার। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে চেয়ারম্যান এর উপস্থিতিতে তারই নির্দেশে পরিবারের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয় আমার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন। ন্যায় বিচার চেয়ে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আদালতে হাসপাতালের জখমের প্রমাণাদী দিয়ে মামলা দায়ের করেন।এই ন্যায় বিচার কে প্রভাবিত করতে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে ইয়ারুল ইসলাম। মিথ্যা মামলা গুলোর মধ্যে কোট সি আর ৯৪/২৪ দন্ড বিধি ৩২৩/৩৭৯/৪৪৭/১০৯/৫০৬ নয় জন কে আসামী সাজিয়ে আরও ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা নাটক সাজিয়ে ৩১/৩/২৪ তারিখে মামলা দায়ের করে। এর দুই দিন পরে আরও একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন ইয়ারুল ইসলাম ২/৪/২৪ কোট পিটিশন ১৮৪/২৪ ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/১১৭(৩) ধারা মামলায় আসামী করা হয় ১৩ জনকে।শুধু এতেই ক্ষ্যান্ত হয়নি মামলাবাজ চেয়ারম্যান পরিবার চৌদ্দ দিন পরে পূনরায় ১৬/৪/২৪ তারিখে কোট পিটিশন ২০১/২৪ ফৌজদারী কার্যবিধির১০৭/১১৭ (৩) ধারায় ১৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে ইয়ারুল ইসলাম। এর একদিন পর ১৭ /৪/২৪ কোট পিটিশন ১০৯/২৪ ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ৪(১)ক/৫(১)ক/৭(১)/৮(১)/১০ ধারা দিয়ে পরপর ৪ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে ইয়ারুল ইসলাম। ঐ একই দিন ১৭/৪/২৪ কোট পিটিশন ২১০/২৪ ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/১১৭ (৩) ধারায় সাগরী খাতুন নামে তার পরিবারের একজন কে বাদী বানিয়ে ১৪ জনের নামে পরপর ৫ টি মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করে। যার কোন ভিত্তি নাই। মামলাবাজ চেয়ারম্যান পরিবার হাত থেকে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই মেলেনি চাকরিরত সেনা সদস্য ৪ নং আসামি নুর হোসেন পিতা জাকির হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী মোছাঃ আসমা খাতুনও।চেয়ারম্যান পরিবারের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে গেলে হতে হয় শারীরিক নির্যাতনের শিকার ও হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলার।এই হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলার শেষ কোথায়। হয় নিজেরা জীবন দিয়ে দেব না হয় বাড়ি ঘর রেখে গ্রাম ছেড়ে চলে যাবো।চেয়ারম্যানের আছে টাকা আছে আইন আছে লাঠিয়াল বাহিনী। আমার নেই টাকা নেই লাঠিয়াল বাহিনী আমার মরা ছাড়া গতি নেই। এই বলে কাঁদতে কাঁদতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাবলু’র রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা।প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এবিষয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ সৈয়দ আল মামুন জানান,বিদ্যাধরপুর দুই পক্ষের মারামারি’র ঘটনায় ঘটেছে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫ জন অজ্ঞাত করে মামলা হয়েছে এর ভিতর থেকে আমরা এক জনকে এরেস্ট করেছি বাকি আসামিদের দ্রুত এরেস্ট করা হবে এবং অন্য পক্ষ মামলা অথবা অভিযোগ করেনি। কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে বলেন,হ্যা ওইদিন আমার কাছে এসেছিলো তাঁরা কাগজ পত্র সাথে আনতে পারেনি পরে কাগজ পত্র নিয়ে আসতে বলেছি শুনলাম ফেরার পথে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে।