ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ফুলবাড়ি কামার পাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আঁধারে প্রবাসীর বসত বাড়ি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।সরজমিনে খোঁজ খবর নিতে গেলে আলোকজান (৩৬) স্বামী প্রবাসী আমিরুল ইসলাম জানান,আমাদের বাড়ির জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত (১০ই-জুলাই)বসত ঘর বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি ব্যক্তিগত কাজে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টার সময় কোটচাঁদপুর শহরে অবস্থান কালে রাত আনুমানিক ৮ টা ৪০ মিনিটের সময় সংবাদ আসে আমার বসত ঘর বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি সংবাদ শুনে তাড়াতাড়ি বাড়ি এসে দেখি আমার টিনের তৈরী বসত ঘর আগুনে পুড়ছে।স্থানীয় লোকজন,কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের জানালে তারা এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।ততক্ষণে আমার বসত ঘরে থাকা ৩ টি খাট ২ টি শোকেস ১ টি ড্রেসিং টেবিল একটি কনকা ফ্রীজ সহ ব্যবহারের কাপড়চোপড় সহ ঘরে থাকা নগদ ৭ লক্ষ টাকা সম্পূর্ণ পুড়ে ছায় হয়ে গিয়েছে বলে আলোকজান কাঁদতে কাঁদতে বাকরুদ্ধ হয়ে প্রতিবেদকদের বলে আমি কি করবো? আমার সব শেষ হয়ে গেলো? এই জমি আমার কাল। আমার আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকা শেষ।আমার স্বামী প্রবাসে থেকে কঠোর পরিশ্রম করে টাকা পাঠায় সেই কষ্টে অর্জিত টাকা সহ ঘরের সব পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার স্বামী প্রবাসে থাকে দুই ছেলে লেখা পড়া করে এক ছেলে সেনাবাহিনীর চাকুরী করে। বাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলে আসছে মামলা শেষ না হতেই এই অবস্থা। তারই সুত্র ধরে জিয়ারুল (৩৬) আরিফ (৩২) পিতা নিজাম উদ্দিন মিকাইল(৪৫) পিতা বিল্লাল হোসেন নিজামুদ্দিন শেখ (৫৫) পিতা মৃত আশরাফ আলী সর্ব সাং ফুলবাড়ি কামার পাড়া এরা আমার বাড়িতে ঢুকে দক্ষিণ পাশের জানালা খুলে পেট্রোল ঢালতে গেলে শব্দ শুনতে পায় আমার শ্বাশুড়ী মাজেদা বেগম (৬৫) ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন ওরা আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে। আমার শ্বাশুড়ি মাজেদা বেগম (৬৫) স্বামী আউয়াল শেখ আগুন দেখে চিৎকার করলে উক্ত ব্যক্তিরা সহ কয়েকজন মহিলা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এর কয়েক দিন পূর্বে আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে। আজ পুরোটা আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে আমি দেশ বাসীর কাছে বিচার চাই বলে আবারও কাঁদতে কাঁদতে বাকরুদ্ধ হয়ে যায়।বলতে থাকে আমার সব শেষ হয়ে গেলো আমার আর কিছুই রইলো না। আমি আমার সন্তানদের কিভাবে লেখা পড়া করাবো না ঘর বাড়ি তৈরী করবো পেটে দুমুঠো ভাত দেবো। আগুন দেওয়ার বিষয়ে কোন অভিযোগ করা হয়েছে কি জানতে চাইলে আলোকজান জানান,পুরুষ ও মহিলা সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মডেল থানায় মামলা করেছি। আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও পুড়িয়ে দেওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত ভাবে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছি।এবিষয়ে ঝিনাইদহ কোম্পানি কমান্ডার RAB-6 এর নিকট অভিযোগ দায়ের করেছি। আমাদের জমি নিয়ে গোলযোগপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি করা আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পরামর্শ সহ সকল বিষয় মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করছেন মোঃ মিকাইল হোসেন (মাস্টার) এবিষয় অভিযোগের তীর যার বিরুদ্ধে সেই মিকাইল এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান আগুন যখন লাগে আমি তখন কোটচাঁদপুর ছিলাম আমি শুনেছি আগুন লেগেছে। কিন্তু আমার জানা নেই কে আগুন লাগিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে মাস্টার মাইন্ড উল্লেখ করে যে কথা বলা হচ্ছে সেটা ঠিক না। নিজাম উদ্দীন শেখের ছেলে আরিফ আমার ছাত্র ছিল।সেই থেকে ওদের সাথে আমার সম্পর্ক। ওদের জমির কাগজ পত্রে ৬ শতক জমি দলিল পর্চা এবং ভূমি অফিসের কাগজ ওদের পক্ষে ৬ শতক সেটা আমি বলেছি।আগুন লাগানোর সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। কে বা কাহারা লাগিয়েছে এটাও জানি না।কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মরত কর্মকর্তা মোঃ কুতুবউদ্দিন জানান,আগুনের ঘটনা সঠিক আমাদের ১ ম ও ২য় কল গাড়ি ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নির্বাপণ করা হয়। এবিষয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আল মামুন জানান,আমরা তদন্ত করছি তদন্তকারী কর্মকর্তা একজন এজাহার আসামী’কে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে তদন্ত অব্যাহত আছে।