ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক নজরুল ইসলাম নিজের বাবার পৈতৃক সম্পত্তি বেদখল হওয়ার আতংকে ভুগছেন।এছাড়া তাকে বিভিন্ন ভাবে সামাজিক,মানষিক চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী আবুল,মকবুল,সেলিম ও চান্নুর বিরুদ্ধে।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,নজরুল ইসলামের ৫৯ শতক জমির পেয়ার বাগানের মাঝ বরাবর কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ২৭ শতক জমি দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে প্রতিপক্ষরা।এছাড়া পেয়ারা বাগানের পরিচর্যা দেখভাল করা বাঁধা প্রদান ও পেয়ারা নষ্ট করে আসছে প্রতিপক্ষরা। এবিষয়ে জমির কাগজ দেখিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন,বাবা খোরশেদ আলীর জমির সর্বশেষ হাল রেকর্ড অনুযায়ী ১৮২ নং পোড়াহাটী মৌজার, ৬৪৩ নং খতিয়ানের, ১৯১৫ দাগের মধ্যে মোট জমি ৩২০ শতক। এর মধ্যে ওয়ারিশ সূত্রে আমার ১৮৫ শতক জমি দীর্ঘদিন দখল আছে।তাঁর মধ্যে ৬২ শতক জমি আমি ফলের বাগানের জন্য লিজ দিয়েছি কৃষক দবির হোসেনের নিকট।আর এই লিজ কৃত ৬২ শতক জমির মধ্যে ২৭ শতক জমিই দখল করার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রতিপক্ষরা। আমি একজন শিক্ষক মানুষ।আমার প্রতিদিন হুমকি,ধামকি মারধর করার জন্য জোট বেঁধে চলে আসছে আবুলের ছেলেরা।আমি এ ঘটনায় নিজে ও পারিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।জমিদখলের বিষয়ে আবুল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার মায়ের সাথে নজরুল ইসলামের বাবার বিয়ে হয়।ছোটকালে মা আমাদের দুই ভাই নিয়ে চলে আসে স্বামীর কাছে। আমার মা নজরুলের বাবার স্ত্রী হিসাবে কিছু জমি পেয়েছে। সেই জমি আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে আমার মা রেজিস্ট্রি করে দেয়।নজরুলের মধ্যে আমাদের কিছু জমি আছে আমরা সেই জমি দখলের চেষ্টা করছি।সে কোর্টে মামলা করেছে আদালত যে রায় দেবে আমরা মেনে নেবো।পোড়াহাটি গ্রামে নজরুল ইসলামের পেয়ারা বাগান দখলের বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিন উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,এবিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।উল্লেখ্য,পৈতৃক জমির বিষয়ে শিক্ষক নজরুল ইসলাম উচ্চ আদালত(হাইকোর্ট)সিভিল ডিভিশনে বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। যাহার মামলা নং ১৮৩৭।উচ্চ আদালতে তিনি মামলার রায় পক্ষে পান বলে জানা গেছে।এছাড়া ঝিনাইদহ জজ আদালতে ২০২২ সালে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পান শিক্ষক নজরুল ইসলাম।