লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর সদরে চররমনী মোহন ইউনিয়নে গরু-মহিষ চুরি ঘটনা তদন্ত করে চোর চক্রের ১৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একটি রেজুলেশন করা হয়েছে।এ ঘটনায় সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় করাতি হাট বাজারে বিক্ষুব্ধ শতাধিক গ্রামবাসী চিহ্নিত গরু চোরদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন— চররমনী মোহন ইউনিয়নের (২ নম্বর ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য কামরুল সরকার, সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ মোল্লা, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ইলিয়াস মীর, যুবলীগ শরীফ হাওলাদার, আলী সর্দার, ব্যবসায়ী সেলিম মীর, ইয়ার আলী মীর, হেলাল সরকারসহ দুই শতাধিক সাধারণ মানুষ।জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে চররমনী মোহন ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৪ ওয়ার্ডে গরু-মহিষ চুরির সংখ্যা অত্যাধিক বেড়ে গেছে। গরু চোরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়ালের নেতৃত্বে একটি জরুরি বৈঠক করা হয়। ওই বৈঠকে ১৮ চোরকে শনাক্ত করা হয়। এ নিয়ে পরিষদে একটি রেজুলেশন করা হয়। বিষয়টি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়।পরিষদের প্যাডে ১৮ চোর চক্রের সদস্যের নাম রেজুলেশন করা হয়। তারা হলেন— সফিক মোল্লা, কামাল মোল্লা, শাহিন, হারুন সর্দার, ফরহাদ, সাইজ উদ্দিন, শিপন,এফরান মোল্লা, আমির হোসেন, ফারুক, সাদ্দাম, হোসেন, রফিক গোলদার, মুরাদ, রাকিব হোসেন, দাদন মৃধা, সবুজ ও ইয়াছিন।বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দাবি, এ চোর চক্রের নেপথ্যে শাহজালাল মোল্লা ওরফে লেকু মোল্লাও রয়েছে। এ চোর চক্রের অনেক সদস্য ডাকাতি, হত্যা মামলার আসামি। তারা প্রকাশ্যেই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন চাইলে তাদের আইনের আওতায় আনতে পারে।জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সার্কেল মো. সোহেল রানা বলেন, বিক্ষোভ মিছিলের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ১৮ চোর চক্রের সদস্য নামের তালিকায় নিয়ে আমরা কাজ করছি।