ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৪নং ঘোড়শাল ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (ইজিপিপি) প্রকল্পের আওতায় কর্মসৃজন কাজের ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়েছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন (ইজিপিপি) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে।পাকা গ্রামের মেইন রাস্তা হতে হতে হুদোপাড়া অভিমুখে রাস্তা মাটি দ্বারা সংস্কার এবং হিসাম উদ্দিন এর বাড়ির পাশে মাঠ অভিমুখে রাস্তা মাটি দ্বারা পুনঃনির্মাণ কাজে ৬৩ জন শ্রমিক থাকার কথা কিন্তু সরজমিন পরিদর্শনে গেলে পাওয়া যায় ৪১ জন। একই ইউনিয়নের দক্ষিণ শিকারপুর গ্রামের অরবিন্দুর বাড়ির পাশের মাঠ অভিমুখে রাস্তা এবং মা যশোদা মন্দির এর পাশ দিয়ে নারায়নের বাড়ির পাশ দিয়ে মাঠ অভিমুখের রাস্তা মাটি দ্বারা সংস্কার কাজে ৫০ জন শ্রমিকের জায়গায় উপস্থিত আছে ৩৫ জন।বিধিমালা অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার ব্যতীত কাজ হবার কথা সেই অনুযায়ী গত ১৫-৪-২০২৪ ইং তারিখ হতে কাজ শুরু হয়েছে, এবার অবশ্য ৪০ দিনের স্থলে ৩৩দিন কাজ চলবে। প্রতি কার্যদিবসে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কাজ করার কথা থাকলেও প্রচন্ড তাপদাহের কারনে শ্রমিকরা একটু আগেই বাড়ি ফিরে যান। এ প্রকল্পের প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতিদিন কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক হিসেবে ৪শত টাকা তার মোবাইল সিমে পাওয়ার কথা এবং তারা তাদের নিজেদের মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে তুলতে পারবেন। উল্লেখ্য প্রকল্পের কোন সাইডে কোন সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি। সাইনবোর্ডে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকে, যাতে শ্রমিকরা তাদের সঠিক মূল্য বুঝে নিতে পারে। সাইনবোর্ড না থাকায় শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান লোকজন বেশি আসে না যা দেখছেন তাই আজ আটদিন এই কয়জন লোকই মাটি কাটছে। শ্রমিক সংখ্যা কম থাকার বিষয়ে ১৪নং ঘোড়সাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিলটন এর মোবাইল ফোনে কল করলে ওনার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। কথা হয় সচিব মহোদয়ের সাথে, তিনি সাংবাদিকদের ইউনিয়ন পরিষদে এসে দেখা করতে বলেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার প্রকপ্ল কর্মকর্তা নিউটন বাইন কে মোবাইলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনিে বলেন “ভাই আমি এখন ব্যস্ত আছি আপনি সময় করে অফিসে আসেন, আপনার কাছে এই বিষয়টা জানলাম আমি খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নিব “।