মনোরঞ্জন রায় (পঞ্চগড় জেলা)প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১২৫ তম এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ কতৃপক্ষ। আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব আব্দুর রশীদ (সম্পাদক শিক্ষক পরিষদ ) । প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন প্রধান। এসময় তিনি বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম দুজনেই মিলে বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বৃক্ষ যেমন ফুলে ফলে পরিপূর্ণ বিকশিত হয়, তেমনি কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যকে বিকশিত করেছেন । আমাদের অধ্যায়ন ও গবেষণাকে সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান রাখা। এসময় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর জীবনী পাঠ করেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এহতেশামুল হক। তিনি বলেন, পরাধীনতার ভারত বর্ষে জন্ম গ্রহন করে স্বাধীনতার প্রথম ডাক দেন নজরুল, বাংলা সাহিত্যে, কাব্য, কবিতায়, গানে, গজলে, যে অবদান রাখেন বারংবার নোবেল পুরষ্কার দিলেও শেষ হবে না। সাহিত্য অঙ্গনে যে অবদান রাখেন তা আগামী কয়েকশত বছরে তার সমকক্ষ আর হয়তো কেউ হবেনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর জীবনী পাঠ করেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রিয়াজুল ইসলাম। তিনি বলেন, রোমান্টিসিজম বলতে আমরা ইউরোপের রেনেসাঁ ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদ অহমবোদ এবং পুঁজিবাদের মধ্যে রোমান্টিসিজম নারী তুমি সৌন্দর্য যতই হও না কেন তোমাকে আরো সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে পুরুষের কল্পনায়।মোরিচিকা কবিতায় উদধৃতি দিয়ে বলেন মানুষ যা চায় তা পায় না, আর যা পায় তা ভুল করে পাই। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, মাহাবুব আলম, আমির আলী, এইচ আর এম দাদ, গোলাম রহমান প্রধান, সিরাজুল ইসলাম, রেজাউল হক সহ বিভিন্ন বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে নজরুল ও রবীন্দ্রনাথ বিষয়ের উপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে তাদের বাংলা ভাষা, সাহিত্য, গদ্য ও পদ্দ্যে অবদানের কথা ফুটে ওঠে । আব্দুর রশীদ(সম্পাদক শিক্ষক পরিষদ)সভাপতিত্বের বক্তব্যে বলেন জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ কবি সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্যে অমূল্য অবদান রাখেন।জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্য অঙ্গে অবদান রাখেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করা হয় । অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয় নজরুল সংগীত ও রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে।