শহীদুল ইসলাম শহীদ,সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ মসজিদ আল্লাহর ঘর ও মুসলিমদের প্রাণকেন্দ্র। তাই মসজিদ নির্মাণ এবং তা সংরক্ষণের উপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে ইসলামে। আর এ কারণেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রতিটি জেলা-উপজেলার পাশাপাশি সব পৌরসভায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করার। এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে ২০১৭ সালে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এ প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে নির্মাণও করা হয়েছে প্রায় অর্ধেক মসজিদ। তবে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় বার বার থেমে যাচ্ছে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু হলে স্থানীয় কয়েকজনের কাজে বাঁধা প্রদান করলে আবারও নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।জানা যায়, পৌরসভার পূর্ব বাইপাস সড়কের উত্তর পাশে পুরনো মসজিদে দানকৃত সাড়ে পাঁচ শতাংশ জমির সাথে আরও ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে তাতে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ২০১৯ সালের ১১ জুন যথারীতি টেন্ডারও আহ্বান করে গাইবান্ধা গণপূর্ত অধিদপ্তর। জমি অধিগ্রহণসহ মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১২ কোটি ২৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯০ টাকা।কাজের দায়িত্ব পান ঢাকার (এস এস এল কনভার যেভি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ে কাজও শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। খোড়াখুড়ির পর কয়েকটি পিলারের ছকও দেয় তারা। নির্মাণ কাজ শুরু হলেই বার বার বাঁধার মূখে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদানকারী খোকনসহ কয়েকজন জমির মালিক দাবী করনে। তবে গাইবান্ধা ইসলামি ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক গোলাম মর্তুজা বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৪৮ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে ইসলামি ফাউন্ডেশনের নামে গেজেট মূলে খারিজ করা হয়। এই জমির মালিক ইসলামি ফাউন্ডেশন। এবং জমি আমরা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে গাইবান্ধা গণপূর্ত অধিদপ্তরের হস্তান্তর করি। তারা যথারীতি টেন্ডারের মাধ্যমে নির্মাণ কাজটি ঠিকাদারি পুতিষ্ঠান (এস এস এল কনভার যেভি) ২০১৯ সাল থেকে বার বার নির্মাণ কাজ শুরু করলে বিভিন্ন বাঁধার মূখে কাজ বন্ধ করতে বাঁধ্য হয়।ঠিকাদারি পুতিষ্ঠান (এস এস এল কনভার যেভি) ঠিকাদার মাহমুদুন নবী মুরাদ জানান, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের জমি অধিগ্রহণ এবং খারিজের কাগজ নিয়ে আমরা নির্মাণ কাজ শুরু করি কয়েকজন অনুপ্রবেশ কারি নির্মাণ মালামাল তছরুপ করার জন্য বার বার বাঁধাপ্রদান করে নির্মাণ কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়েছি তিনি ইতিমধ্যে ঘটনা স্থান পরিদর্শন করে কাজ করার নির্দেশনা দেন। আবারও গত বুধবার নির্মাণ কাজ শুরু করলে আমার শ্রমিকদের দেশিও অস্ত্র দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। আমি কয়েকজনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, মডেল মসজিদের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের টাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলও শাখা থেকে প্রদান করা হয়। সরকারি গেটেজ অনুযায়ী জমির মালিক ইসলামি ফাউন্ডেশন। তাদের সাথে কথা বলেছি জমিটি ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য। এবং আমি ঘটনা স্থান পরিদর্শন করি ও কয়েকজন অনুপ্রবেশ কারীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করি।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭