ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদরে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর তালা মার্কা প্রতীকের ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল ও গেজেট স্থগিত রেখে পূনঃরায় ফলাফল প্রকাশের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের মিলনাতায়নে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস।এতে উপস্থিত ছিলেন,সাবেক কমিশনার জাহিদুল ইসলাম,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন হোসেন,ইউপি সদস্য বদরুল হাসান, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিমসহ ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসের কর্মী সমর্থকরা।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস অভিযোগ করে বলেন,গত ৮ মে প্রথম ধাপে সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেছেন।কিন্তু এই পদে জেলা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা বে-সরকারীভাবে যে ফলাফল প্রকাশ করেছে তা ত্রুটিপূর্ণ ও গরমিল ছিল।উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বমোট ভোট পোল হয়েছে ১লাখ ৫হাজার ৫’শ ৫৮ ভোট।কিন্তু সকল প্রার্থীর বৈধ ও অবৈধ ভোট যোগ করে দেখা যায় পোলকৃত ভোটের থেকে ৩ হাজার ৩’শ ৯৮ ভোট বেশি হয়ে তা দাড়িয়েছে ১লাখ ৮ হাজার ৯’শ ৬ ভোটে।এতে জেলা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা অনিয়ম দুর্নীতি ও পক্ষপাতিত্ব করে নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী এনামুল হককে বিজয়ী ঘোষনা করে।এমনকি নির্বাচন কর্মকর্তারা ৩টি রেজাল্ট শীট তৈরি করে তাতেও ফলাফলের অসংগতি রয়েছে।এমন অনিয়মে নির্বাচনী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে পরাজিত প্রার্থী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস।সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রার্থীর সমর্থকরা প্রেসক্লাবের সামনে অবৈধ ফলাফল বাতিল ও গেজেট স্থগিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, রেজাল্ট শীটে ভুল হতেই পারে সেটা আমরা পরে সংশোধন করেছি।তবে ফলাফল ঘোষনা সঠিক আছে।প্রার্থীর কোন অভিযোগ থাকলে নির্বাচনী ট্রাইবুনালে মামলা দিতে পারে।