জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলার চালুনদহ বিলের ধারে চকরাধীকা শ্মশানে রাতের আঁধারে কালী মন্দিরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার হিন্দুদের মাঝে চরম ক্ষোবের সৃষ্টি হয়।গাবতলীর চকরাধীকা শ্মশানে মঙ্গলবার গভীর রাতের কোন এক সময় এঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা জানান, আশপাশের ৯টি গ্ৰামের লোকজনের ব্যবহায্য শ্মশানে আগুন লাগার বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার সকালে আমরা এলাকাবাসী এসে দেখি আগুনে শ্মশান মন্দিরের কালী মূর্তি সহ ইটের তৈরি মন্দিরটি ফাটল ধরেছে। এঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে প্রসাশন সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। চকরাধীকা শ্মশান কমিটির সভাপতি নারায়ন চন্দ্র রায় সম্পাদক অমল চন্দ্র রায় জানান, আমরা মন্দিরে আগুন লাগার বিষয়টি জানতে পেরে এসেছি। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু রায় বলেন ধীরে ধীরে আমরা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছি তবে আমরা বিচার দাবি করছি। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা কমিটির সভাপতি অলক চৌধুরী, উদয় সিংহ,সুমন কর্মকার জানান, তদন্ত পুর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি প্রসাশনের নিকট। স্থানীয় মালতি রানী বলেন, আমাদের কালী মাকে দুষ্কৃতিকারীরা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়েছে আমরা এর বিচার চাই। মানবাধিকার কর্মী বিকাশ স্বর্নকার ঘটনার তদন্ত পুর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ চন্দ্র শেখর রায় ও সহ সভাপতি বিমল চন্দ্র রায় জানান, ঘটনাটি পরিকল্পিত ভাবে ঘটনা হয়েছে।তিনারা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এরিপোর্ট লেখা কালিন সময়ে ঘটনাস্থল গাবতলী থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত এএসপি সার্কেল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর, ইউপি চেয়ারম্যান,থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি),সুখানপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এ সময় এলাকার প্রায় ৫শতাধীক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।