ফরহাদ হোসাইন (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষীপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক, সংগঠক ও শিক্ষক এমএ মালেকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে ৯ এপ্রিল। দিবসটি উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠান লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড সমসেরাবাদ গ্রামের হাজী চুন্নী মিয়া হাওলাদার জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৮ সালে তিনি বার্ধ্যক্য জনিত কারণে নিজ বাড়িতে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুকালীন সময় পর্যন্ত তিনি শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়ে সাংবাদিকতায় জাতীয় দৈনিক ভোরের পাতার ব্যুরো প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন।তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সমসেরাবাদ গ্রামের হাজী চুনু মিঞা হাওলাদার বাড়ীর বাসিন্দা ছিলেন। সাংবাদিক এমএ মালেকের ছেলে এবং আজকের বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকার লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ও লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক নাজিম উদ্দিন রানা জানান, তার বাবা স্কুল জীবনে সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি শিক্ষকতায় যুক্ত হলেও নেশা হিসেবে সাংবাদিকতায়ও যুক্ত ছিলেন।লক্ষ্মীপুর মডেল হাইস্কুলে অধ্যয়নকালে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। চৌমুহনী এসএ কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়ে দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক বাংলা, দৈনিক কিষাণ, দৈনিক দেশ বাংলায় লেখালেখি করতেন।মরহুম মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা টিটি কলেজ থেকে বিএড সমাপ্ত করে সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি শিক্ষকতায় যুক্ত হন। প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিনি কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেন। পরে দীর্ঘ ১৫বছর তিনি সিলেটের ছাতক এবং ঢাকার সাভারের দোসাইদ একে হাইস্কুলে পর্যায় ক্রমে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।শিক্ষকতার পাশাপাশি নেশা হিসেবে সাংবাদিকতায় যুক্ত থেকে এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যা তুলে ধরে বৃহত্তর নোয়াখালীর আঞ্চলিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। তিনি লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আল চিশত ও দৈনিক লক্ষ্মীপুর কন্ঠ দীর্ঘদিন সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, আজীবন সদস্য, লক্ষ্মীপুর রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি, জেলা চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি এবং সদস্য ছিলেন।শিক্ষকতার পাশাপাশি একজন সাদা মনের মানুষ এবং উপকারী সাংবাদিক হিসেবে লক্ষ্মীপুর জেলাবাসির নিকট এক সময় আস্থার প্রতীক ছিলেন এমএ মালেক। সাংবাদিকতায়ি তিনি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন।