স্টাফ রিপোর্টার: গত রবিবার কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার গোপদিঘী ইউনিয়নের মুশুরিয়া গ্রামে ইফতারের আগ মুহূর্তে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে ঐ যুবকের পরিবারের বাবা এবং অন্যান্য সদস্যসহ বড় ভাই সোহাগ সন্ত্রাসীদের বাঁধা প্রদান করতে গেলে সেই পরিবারেরই মেজো ভাই নুর মিয়া (৩৫) মারাত্মকভাবে সন্ত্রাসীদের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে মিঠামইন থানার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। আহত সেই যুবক মিঠামইন থানার মুশুরিয়া গ্রামের আল-উদ্দিন (৬৫) এর মেজো ছেলে নুর মিয়া (৩৫)।
ভুক্তভোগীর আরেক ভাই মিজানুর রহমান মিজান(২৮) এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, অটোরিক্সার চাঁদাকে কেন্দ্র করে বড় ভাই সোহাগ বাঁধা প্রদান করতে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনী গোপালপুর থেকে মুশুরিয়া গ্রামে এসে ইফতারের আগ মুহূর্তে আমার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে করে আমার মেজো ভাই মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মিঠামইন থানার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে আছে। তারা আরও জানাই, সেই সন্ত্রসী বাহিনী গোপালপুর এবং পার্শ্ববর্তী গ্রাম নিয়ে বিগত ৩০-৩৫ বছর ধরে এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়ে আসছে। সেক্ষেত্রে ঐ সকল এলাকার লোকজন কোনো কথা বলতে সাহসবোধ করে না।
একপর্যায়ে সাংবাদিকরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানতে চাইলে ভুক্তভোগীরা জানান, তারা নগদ ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং আরও যাকাতের অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়েছে। তাছাড়া এসি, ইলেকট্রনিক তৈজসপত্র ও অন্যান্য আসবাবপত্র এবং নগদ অর্থসহ প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।
উল্লেখ্য; পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবার মিঠামইন থানায় ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশের সহায়তা চাইলে থানার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত জাকির নামের একজনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পরে তদন্ত ওসি আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগ করলে ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা করলে সেই থানার তদন্ত ওসি রাত ১১ টার সময় ভুক্তভোগীর বাড়িতে তদন্ত করে চলে যায়।
ভুক্তভোগীরা আরও জানায়, আমরা এখন প্রাণ নাশের হুমকিতে আছি। পুলিশের কাছে আইনের আশ্রয় চাই।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭