মোঃ মানিক হোসেন, বেড়া(পাবনা) প্রতিনিধিঃ মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। তবুও দিন দিন মাছের বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। পাবনার বেড়া উপজেলার সকল বাজারে মাছের দাম লাগামহীন। বাজারে প্রতিটি মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। মাছ বাজারে গিয়ে সাধারণ ক্রেতার নাভিশ্বাস উঠছে। মাছের দাম বাড়লেও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে ডিম ও মাংসের দাম। ফলে পরিবারের পুষ্টির জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিএন্ডবি চতুর বাজার, বেড়া বাজার, নাকালিয়া বাজার, বাধের হাট, কাশিনাথপুর, নগরবাড়ী ঘাট, রাকশা বাজার, মহনগঞ্জ বাজার ঘুরে মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়। বাজারে প্রতিটি মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১২০০ থেকে ২২০০টাকা, রুই মাছ প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ ১৬০০থেকে ২২০০ টাকা, কাজলি মাছ ১৪০০ টাকা, পাবদা মাছ নদীর ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, আইড় মাছ ১০০০ থেকে ১৪০০ টাকা, শিং মাছ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা,গুংশা টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পোয়া মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৭৫০ থেকে ১০০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, টাকি মাছ ৫০০ টাকা , চিতল মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, বড় বাইম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, কাকিলা ১০০০ টাকা, গনি চাপিলা ৬০০ টাকা, মলা মাছ ৫০০ টাকা, সরপুটি মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, টাটকিনি মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গারুয়া বাচা ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
বেড়া বাজারের মাছ কিনতে এসে ময়েন আলী নামের ক্রেতা বলেন ইলিশ মাছের দাম শুনে পকেটের হাত দিয়ে দেখি মাছের ওজনের পরিমান টাকা নেই তাই বাধ্য হয়ে ২৩০ টাকা কেজি দরে তেলাপিয়া মাছ কিনেছি। রমজানের শুরু থেকেই মাছের বাজারে চলছে অস্থিরতা। আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষরা যেসব মাছ কিনতাম সেগুলোর দামও এখন আকাশচুম্বী। দিন দিন আমাদের খাবারের তালিকা অনেক ছোট হয়ে আসছে মূল্যবৃদ্ধির কারণে।
মাছ ব্যবসায়ি শাহিন আলম বলেন, মাছের আমদানি কম থাকায় ও চাহিদা বেশি থাকায় মাছের দাম বেশি। ক্রেতারা মনে করছে আমরাই বেশি লাভ করে মাছ বিক্রি করছি আসলে তা সত্য না কারন আড়ৎ থেকে বেশি দামে মাছ কিনে এনে বিক্রি করছি তাই দাম বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু লাভ হচ্ছে কম। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যের কারনে সংসার চালানোর কঠিন হয়ে পরেছে।
এদিকে মাছের দাম বাড়লেও স্থিতিশীল রয়েছে ডিম ও মাংসের দাম। পুষ্টির এ অন্যতম পণ্য দুটির দাম স্থিতিশীল থাকলে যে দাম, সেটা নিম্নআয়ের মানুষের নাগালের বাইরে রয়েছে। উপজেলার বাজারগুলোয় গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২১০, সোনালি ৩০০, সোনালি হাইব্রিড ২৯০, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৬০০, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোয় এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়, হালি ৪৮ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ২১০ টাকা, আর হালি ৭০ এবং দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২৫৫ টাকা, আর হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭