নিজস্ব প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রাতের আঁধারে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে জনতা কর্তৃক যুবক প্রেমিক ও প্রেমিকা আটক হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের সিংগা উত্তর পাড়া গ্রামে। এঘটনায় আটককৃত যুবক যুবতীকে দেখতে এলাকায় শত শত মানুষের সমাগম ঘটে।এলাকার লোকজন জানায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাদপাড়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও কোচাশহর ইউনিয়নের সিংগা উত্তর পাড়া গ্রামের মোঃ শাজাহান আলী সরকারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ের (১৮) সাথে পাশ্ববর্তী নিকটস্থ সিংগা বাড়ইপাড়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে আহসান হাবিব (১৯) নামের এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের দির্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।এরই সুত্র ধরে তারা দুজনে প্রতিনিয়তই রাতের আঁধারে বাড়ির পাশে ঝোপঝাড়ে দেখাও করতো।তারা আরো জানান, বিষয়টি এলাকার লোকজনের নজরে আসে। এতে করে তারা দির্ঘদিন যাবৎ ওই যুবক যুবতীকে হাতেনাতে ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শত চেষ্টার করেও তারা সফল হতে পারছিল না।এরই একপর্যায়ে শুক্রবার রাতে আবারও প্রেমিক যুবক মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে গ্রামের শাজাহান আলী সরকারের মেয়ের (প্রেমিকা) সাথে দেখা করে এবং প্রেমিকার বাড়ির পেছনে পশ্চিম পাশে একটি কুশারের জমিতে গিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়।অপরদিকে বিষয়টি এলাকার লোকজনের নজরে আসলে তারা দলবদ্ধ হয়ে ওই দুইজনকে হাতেনাতে আটক করে। এরপর তারা তাদেরকে ওই শাজাহান আলী সরকার (মাষ্টার) এর বাড়িতে নিয়ে যায়।এসময় বিষয়টি নিয়ে পুরো এলাকায় হৈচৈ পরে যায় এবং ঘটনাটি গ্রামে জানাজানি হলে শতশত নারী পুরুষ শাজাহান আলী মাষ্টারের বাড়িতে ভীড় জমায়।অপরদিকে রাতেই গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের সংঘবদ্ধ একটি দলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে শাজাহান আলী সরকার (মাষ্টার) এর বাড়িতে।এদিকে আটককৃত ওই কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর পিতা চাঁদপাড়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হওয়ার কারনে তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি রাতারাতিই থানা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে আটককৃত প্রেমিক যুবককে কৌশলে ছেরে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।এলাকার লোকজন আরো জানিয়েছে, প্রায় ৫ থেকে ৬ বছর পুর্বে শাজাহান আলী মাষ্টারের বড় মেয়ে বাড়ির পাশে এক যুবকের সাথে একই রকম ঘটনা ঘটিয়েছিলো। পরবর্তীতে ওই মেয়ের সোনাতলায় এক প্রভাষকের সাথে বিয়ে দেয় শাজাহান আলী সরকার। কিন্তু বিয়ের পরেও ওই মেয়ে তার আগের প্রেমিকের সাথে নিয়মিত দেখা করত। সেই বিষয়টি মেয়ের পিতা শাজাহান আলী মাষ্টারের চোখে পরে। এরই ধারাবাহিকতায় তার বড় মেয়ে মোছা:নুরি আক্তারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।