ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারির ম্যানেজার আশরাফ-উল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।দুর্নীতির মাধ্যমে সে শশুড় বাড়ি ঝিনাইদহ ও তার নিজ এলাকায় সাতক্ষীরায় গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। এছাড়া দীর্ঘদিন হ্যাচারীর দায়িত্ব থাকায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের বলাই তৈরি করে গড়ে তুলেছেন ভাউচার বিহীন রেনুপোনা বিক্রির সিন্ডিকেট।বিভিন্ন অনুসন্ধানে দেখাযায় ম্যানেজার আশরাফের প্রধান দুর্নীতি হলো,রেনু উৎপাদনের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার পরে সে অতিরিক্ত পোনা উৎপাদন করে সরকারি রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে এসব পোনা বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে। ম্যানেজার আশরাফের ভয়ে অফিসের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী মুখ খুলতে সাহস পায় না।গতবছর আশরাফের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই হ্যাচারীর এক কর্মচারীকে মেরে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। জানা গেছে বলুহর মৎস্য প্রজেক্ট বাংলাদেশের বৃহৎ মৎস্য প্রকল্প গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রকল্প।এটি ঝিনাইদহ জেলার কোঁটচাদপুর উপজেলার বলুহর ইউনিয়নে অবস্থিত।পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দর্শনার্থীদের আনাগোনাও এতে রয়েছে।এ প্রকল্পে সরকারিভাবে দেশি বিদেশি বিভিন্ন মাছ নিয়ে গবেষণা করা হয়।এককথায় সরকারের একটি সম্ভাবনাময় খাত। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ মৎস্য প্রকল্প হিসেবেও এর পরিচিতি রয়েছে।এটি ১৯৭৯ সালে সর্বপ্রথম বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এই মৎস্য হ্যাচারি প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।টানা ৬ বছরে নির্মাণ কাজ শেষ হয়।১৯৮৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে এটি উদ্বোধন করা হয় এবং পুরদমে মাছ চাষ শুরু হয়।প্রথমদিকে হাতেগোনা কয়েকটি প্রজাতির মাছের পোনা চাষ শুরু হলেও এখন (অর্ধ-শতাধিক) মাছের পোনা চাষ শুরু হয়।কিন্তু থেমে নেই বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারীর ম্যানেজার আশরাফ-উল ইসলামের দূর্নীতি।একাধিক মৎস্য হ্যাচারীর মালিক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন তিনি সরকারী দামে বিক্রি করেন না মাছের পোনা।যে দামে ভাউচার লিখেন তার থেকে কয়েকগুণ বেশি টাকা নিয়ে থাকেন।মাছের পোনার খাদ্য না দিয়ে বিক্রি করার কারণে পোনা মারা যায় তার কোন পদক্ষেপ নেন না তিনি। এদিকে কোটচাঁদপুর ওয়েস্ট জোন ডিস্টিবেশন কোঃ লিঃ এর টাকা,পুরাতন গাড়ি মেরামতের টাকাসহ বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাতের ও অভিযোগ উঠেছে।এবিষয়ে মৎস্য খামারের মালিক ও মৎস্য চাষীদের সাথে কথা বললে তারা বলে আমরা রেনুর দাম জানতে চাইলে কখনই দাম বলেনা,মৃগের রেনু পোনা আনলে হয়ে যায় তেলাপিয়া বা অন্যান্য।আবার রেনু পোনা খাদ্যর অভাবে এতটাই দূর্বল থাকে যে পুকুরে ছাড়ার পর মারা যায়।এবিষয়ে কোটচাঁদপুর বলুহর মৎস্য হ্যাচারির ম্যানেজার আশরাফ-উল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এখানে যা আয় উপার্জন হয় তাদিয়ে সবদিকে সামলানো লাগে। অতিরিক্ত পোনা বিক্রি করলে সবারই কমবেশি চলাচলের সুযোগ হয়। হ্যাচারী ম্যানেজার আশরাফুল ইসলামের দুর্নীতির বিষয়ে যশোর মৎস্য প্রকল্প পরিচালক আলফাজ উদ্দিন বলেন,আমি অভিযোগ গুলো শুনেছি তবে এখনও ক্ষতিয়ে দেখিনি। আর কারই বা দায়িত্ব দেব।যে আসে সেই তো চুরি করে।তবে অভিযোগ প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যাবস্থা নেবো।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭