ফরহাদ হোসাইন (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ১০ জেলেকে আটক করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশ। এ সময় মাছধরার ৪টি নৌকা, আড়াই হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ভোরে মেঘনা নদী থেকে মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশ অভিযান চালিয় তাদের আটক করে।আটককৃতরা হলেন- জেলে মনির হোসেন, হারুনুর রশিদ, মুসলেহ উদ্দিন, সবুজ, তারেক, হোসেন, হৃদয়, শাহিন, বিল্লাল ও সামছু।পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস আটককৃত ৬ জনের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৪ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়া জব্দকৃত জাল মজু চৌধুরীর হাট এলাকায় প্রকাশ্যে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোসলেহ উদ্দিন, মো: সালাহ উদ্দিন, আকাশ মাঝি, মনির হোসেন, মো: শাহিন, ও শাহ আলম মাঝি, তারা সবাই সদর উপজেলার চররমনী মোহিন ইউনিয়নের বাসিন্দা। প্রাপ্ত বয়স না হওয়ায় সবুজ, তারেক, হৃদয় ও সামছুকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।লক্ষ্মীপুর জেলায় মেঘনা নদীতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। একই সময় ওই এলাকায় নদীর মাছ কেনাবেচা, মজুত ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৫ই মার্চ) ভোরে এ অভিযান চালানো হয়।অভিযান সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশ। এ সময় মতির হাট এলাকা থেকে ১০ জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের চারটি নৌকা ও আড়াই হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, চার জেলে সবুজ, তারেক, হৃদয় ও সামছু অপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের দণ্ডাদেশ না দিয়ে মুছলেকা নিয়ে এবং দুইটি ডিঙ্গি নৌকাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অন্য আটককৃত ৬ জনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যকের দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।