ঝিনাইদহ সংবাদদাতা:শৈলকুপায় মির্জাপুর ইউনিয়নে প্রায় ২শত নর নারী ব্যক্তি টিসিবির পণ্য না পেয়ে সারাদিন অপেক্ষা করে অবশেষে বাড়ি ফিরে গেল।
উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে বিতরণ করছে টিসিবির পণ্য। প্রত্যেক কার্ডধারী ব্যক্তিকে ২ কেজি সয়াবিন তেল এক কেজি ছোলা এক কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাউল ৫২৫ টাকায় বিক্রয় করছে পিসিবির মাধ্যমে। শৈলকুপা শেখপাড়া বাজারে ভাই ভাই ট্রেডার্স ও ঝিনাইদহ সদরের খালেদা মোদি ভান্ডার নামে ২টা প্রতিষ্ঠানের দুইজন ডিলার ১১১৭ কি করে মোট ২২৩৪ টা কার্ডে পণ্য বিতরণ করছে। প্রথমে ভাই ভাই ট্রেডার্স ১১১৭ টি টিসিবির কার্ড ধারী ব্যক্তির নিকট পণ্য বিক্রয় করেছে। পরে খালেদা মোদি ভান্ডার নামে একটি প্রতিষ্ঠান কার্ডধারী ব্যক্তিদের মাঝে টিসিপির পণ্য বিক্রয় শুরু করে। লাইনে অনেক নারী পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে পণ্য ক্রয়ের উদ্দেশ্যে তারা সবাই টিসিবির কার্ড ধারী। হঠাৎ ইউনিয়ন পরিষদের ভেতর থেকে খবর আসলো যে পণ্য আছে তা জন বিশেষ ব্যক্তিকে দেয়া যাবে। এ খবর পেতেই বাহিরে হট্টগোল আমরা সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি তাহলে আমরা কি টিসিপির পণ্য পাবনা?
ইউনিয়ন পরিষদে মজার বিষয় লক্ষ্য করা গেল সেটা হল যে সমস্ত ব্যক্তিরা পৃথিবীর পণ্য ক্রয় করতে এসেছে তাদের হাতে যে কার্ডগুলো আছে সেই কার্ডে কারো ছবি নেই। যে নামগুলো আছে সে নামের সাথে কার্ডআলা ব্যক্তির নামের মিল নেই। এক একজন ৬/৭টা করে কার্ড নিয়ে এসেছে। জিজ্ঞাসা করলে বলছে আমাদের সবার কার্ড একজন নিয়ে এসেছি। এইভাবে ৬-৭ জনের নামে একজন টিসিবির পণ্য ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
টিসিবির পণ্য শেষ। ২০০ কার্ডধারী নারী পুরুষের জটলা করছে আমরা সারাদিন দাঁড়িয়ে আছি রোজার মধ্যে অথচ মাল পেলাম না। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ এসে হাজির হলেন ইউনিয়ন পরিষদে।
তার নিকট বেশি কার্ড কেন এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হলেন না। সে বললেন আমার ইউনিয়নের পাশের ইউনিয়ন গুলোর মানুষ এখানে চলে এসেছে। কারণ কার্ডগুলোতে কারো ছবি নেই। ইতিমধ্যে সরকার আমাদের কাছ থেকে ভোটার তালিকা ও ছবি নিয়েছে কার্ড তৈরি করার জন্য। এই কার্ড এসে গেলে সবাইকে চিহ্নিত করে সঠিকভাবে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা সম্ভব হবে। আমরা তো সবাইকে চিনি না যার কারণে এই কার্ড বেশি হয়ে গেছে।