মনোরঞ্জন রায় (পঞ্চগড় জেলা) প্রতিনিধি :পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলাধীন ৪নং শালবাহান ইউনিয়নের মাঝি পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক, নৈশ্য প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য গত ০২/১২/২০২২ ইং তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠসহ বিগত দিনেও কয়েকটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবেদন আহবান করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী আজমত আলী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন পোচকু নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরুতেই নিয়োগ বানিজ্য শুরু করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এদিকে নৈশ্য প্রহরী পদে আবেদনকারী মামলার বাদী মোঃ ইমরান হোসেন নিয়োগ বিধি অনুসরন গত ১৪/১২/২০২২ তারিখে আবেদন করেন। আবেদনের পর হইতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়োগের কোন নিয়ম না মেনে গোপনীয়তার সহিত নৈশ্য প্রহরী পদসহ বিভিন্ন পদের আবেদনকারীদের নিকট হতে মোটা অংকের অর্থ লেনদেন করেন বলে জানান। এমনকি বাদীর মামলার এজাহারে জানা যায় যে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন পোচকু তাঁর আপন ভাগিনী জামাই আশরাফুল ইসলামের নিকট হতে নয় লক্ষ টাকার বিনিময়ে নৈশ্য প্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টায় ফাইনাল করিয়াছেন আর অন্য বাদীর নিকট দশ লক্ষ টাকা দাবী করেন মর্মে এজাহারে জানা যায়। যা বাদী সাংঘাতিক ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছেন। অপর দিকে বিদ্যালয়ের সভাপতি তাঁর আপন ভাতিজা রবিউল ইসলামের নিকট হতে অনৈতিক অর্থ উৎকোচের বিনিময়ে অফিস সহায়ক ও অত্র বিদ্যালয়ে আয়া পদে ম্যানেজিং কমিটির আরেক সদস্য মজিবর রহমানের নিজ কন্যার নিকট হতে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টা ফাইনাল করিয়াছেন। অপরদিকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেও প্রচুর অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা চলছে বলে জানা যায়। মামলার বিবাদীগন প্রার্থীদেরকে যাচাই বাছাই ছাড়াই নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এবং গভীর ষড়যন্ত্র করে নিজ লোকদেরকে মোটা অংকের অর্থ ঘুষ লেনদেন হওয়ায় বাদী অদ্য ০৮/০১/২০২৩ তারিখে বিদ্যালয়ের সভাপতি ইকবাল হোসেন পোচকুকে ১নং ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী আজমতকে ২নং বিবাদী করে পঞ্চগড় জেলা জজ কোর্টে ০২/২০২৩ নং মামলা দায়ের করেন। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে এলাকাবাসী জানান। এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আজমতকে ফোন দিলে তিনি বলেন, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি ও আদালত কর্তৃক নোটিশ পেয়েছি, পরবর্তীতে নিয়োগ কমিটির সকলে বসে এ বিষয়ে সিদ্বান্ত গ্রহন করা হবে। সভাপতি ইকবাল হোসেন পোচকুকে ফোন দিলে তিনি অসুস্থ আছেন বলে অবগত করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব শওকত আলীকে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি। ডিজির প্রতিনিধি পঞ্চগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রতিনিধি হিসেবে পরীক্ষা নেওয়া আমাদের কাজ কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির উপর বর্তায়।