ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়ন এর সাফদারপুর গ্রামের কাউন্সিল পাড়ার সাবিনা খাতুন স্বামী জামির হোসেন বাঁচতে চায়। এমনটায় করে কাতরাচ্ছে বিছানায় শুয়ে। দু-চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছে ভিজে যাচ্ছে মাথার বালিশ।কান্নার সাথে আশ পাশের প্রতিবেশীরাও ফেলছেন চোখের পানি।স্বামী পরিত্যক্ত সাবিনা পরের বাসা বাড়িতে কাজ করে দুমুঠো ভাত নিয়ে এসে দুই সন্তানের ভরণপোষণ করতেন। ঘরে দু সন্তান তাতে রয়েছে বৃদ্ধ মা। বাসা বাড়ির কাজের ফাঁকে মাঠে ঝাল পটল তুলে সেই টাকা দিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করাচ্ছেন সাবিনা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস গত মার্চের ১ তারিখে মশা তাড়াতে আগুন জ্বালিয়ে ধুয়ার ব্যবস্থা করেন ঘোয়াল ঘরে সেই আগুনে অসাবধানতাবশত কাপড়ে লেগে ঝলসে যায় কোমরের নিচ থেকে দুই পা।চিৎকার দিয়ে বাঁচতে চাইলে ছুটে আসেন প্রতিবেশি নবেরন নেছা সহ কয়েকজন।নবেরন নেছা জানান ছুটে আসলেও ততক্ষণে দুই পা ঝলসে যায়। গ্রাম থেকে চাঁদা তুলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে জরুরী ভাবে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১০ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর প্রতিবেশীরা চাঁদা তুলে বাড়ি নিয়ে আসে।এখন বিছানায় শুয়ে পোড়া ঘায়ের যন্ত্রণায় সারাদিন শুধু কাঁদে। কন্যা সন্তান ও বৃদ্ধ মায়ের মুখে কি তুলে দেবে না নিজে ওষুধ কিনে খাবে।একমাত্র কাজের মানুষ সাবিনা আজ মৃত্যু যন্ত্রণায় বিছানায় শুয়ে কাতরানো তার ভাগ্যের নির্মমতা। প্রতিবেশীরা জানান যদি কোন রিদয়বান মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতো তাহলে চিকিৎসা সেবা নিলে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেত।তুলে দিতে পারতো কন্যা ও বৃদ্ধ মায়ের মুখে দুমুঠো ভাত। সাহায্যের জন্য যোগাযোগ রোগীর স্বজনের