ঝিনাইদহ সংবাদদাতা:কোটচাঁদপুর উপজেলার তিন সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী রা,পথের একাধিক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ও পুরুষ শিশু,যুবক, বয়স্ক, মানুষের খাদ্য, বস্তু, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্হার করে চলেছেন।সম্প্রতি এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে পথের ভারসাম্যহীন মানুষ গুলোর গুরুত্ব ভ্রাতৃত্ববোধ শ্রদ্ধাশীল মনোভাব সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে প্রচার করে চলেছেন।
(২১ মার্চ ১০ রমজান বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে বারোটার সময় কোটচাঁদপুর রেল স্টেশনে এমন ভারসাম্যহীন মানুষের খোঁজে যাওয়া হয়।গিয়ে দেখা যায় স্টেশনের প্লাটফর্মের উপর বসে আছে বাম পা কাটা আনুমানিক ১৮ বছরের ভারসাম্যহীন একজন ছেলে। হাটুর থেকে পা কাটা ক্ষতস্থানে মাংস পঁচে পঁচে পড়ছে। বসছে মশা মাছি তারপর পচা মাংসের গন্ধ।গন্ধের কারণে মুখে রুমাল দিয়েই থুথু ফেলছেন পথচারীরা।দেখতেই ছুটে যায় রেজাউল করিম, বাবলু মিয়া, আবুল হাসান সহ ঐ তিন সাংবাদিক। পরিচয় জানার চেষ্টা করলে কোন উত্তর দেয়নি।কিভাবে কেটেছিল কত দিন আগে কেটেচিল সেটাও বলতে পারেনি। জানতে চাইলে গালাগালি। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে যেতে রাজি হয় না।স্টেশনের কুলির সর্দারের সহযোগিতা নিয়ে ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে চিকিৎসকরা ড্রেসিং করে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় গালিগালাজ।চিকিৎসকরা চেষ্টা করে ড্রেসিং করে ওষুধ লিখে দেন।চিকিৎসা শেষে নিয়ে যাওয়া হয় পৌর সভার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ফুটপাত মার্কেটে।একটা টাওজার প্যান্ট ও শার্ট কিনে দেওয়া হয়।এরপর পুনরায় স্টেশনে যাওয়া হয়। স্টেশনের হোটেল থেকে এক বোতল ফ্রেশ পানি তরকারি সহ ভাত নিয়ে দেওয়া হয় খাওয়ার জন্য। নতুন জামা কাপড় পরানো ও খাওয়ার জন্য শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে সামনে রেখে দেওয়া হলো। স্হানীয় কুলি ও সাধারণ মানুষ বলেন কয়েক দিন যাবত স্টেশনে ঘুরছে। কেউ কিছু দিলে খায়না।কাহারও নিকটে কিছু চায়না।আপনারা রেখে যান যদি খিদে লাগে মনে চায় তাহলে খাবে।আপনারা চিকিৎসার ব্যবস্থা করে গন্ধ মুক্ত হয়েছে সেই জন্য অনেক ভালো হয়েছে। আপনাদের এই মহৎকর্মের পরিধি গোটা দেশে প্রকাশ পেলে ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হবে।