স্টাফ রিপোর্টারঃ ঢাকা উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব সজিব রায়হানের পরিবার এখন একেবারেই নিঃস্ব। ১১ বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পরে ব্যবসা ও পরিবার নিয়ে হিমসিম খেতে থাকে বড় ভাই মাসুদ পারভেজ জুয়েল। তার উপর আবার ৭ ভাই বোনের মধ্যে ৫ নাম্বার ভাই সজিব রায়হান বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত থাকার কারণে বারবার পরিবারকে হতে হয়েছে লাঞ্চিত। কান্না জড়িত কন্ঠে গণমাধ্যমের সামনে এমন অভিযোগের তীর ছুড়ছেন ছাত্রদল নেতা সজিব রায়হানের বড় ভাই মাসুদ পারভেজ জুয়েল।
তিনি বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমার ভাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে বারবার নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমনকি আমার পরিবার ও লাঞ্চিত হয়েছে। তার কারণে আমাদের ব্যবসা তো গেছেই এখন বাড়িটাও সিলগালা হয়েছে।
তাদের বাড়ি সিলগালা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ। ঠিকমতো ব্যাংক ঋণের টাকা দিতে না পারায় ব্যাংকের মামলায় কোটের অর্ডারে তালা মেরে দিয়েছে।
এ বিষয়ে সাউথইস্ট ব্যাংক সাভার শাখার প্রধান জিয়া হাসান গণমাধ্যমের সামনে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
অন্যদিকে, ওই ছাত্রদল নেতা সজিব রায়হানের মা আনোয়ারা বেগম জানান, দীর্ঘদিন তার ছেলে বাড়িতে আসতে পারে না। ছাত্রদল করার অপরাধে তাকে পালিয়ে থাকতে হয়। তার জন্য অন্যান্য ছেলেরাও ঘরে থাকতে পারে না ঠিকমতো। রাজনীতি করার জন্য যেহেতু সবকিছু ত্যাগ করতে হয়েছে এজন্য তাকেই তিনি মৌখিক ভাবে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন। অভিযোগের তীর ছুড়ে তিনি বলেন, কোথায় সজিবের নেতাকর্মীরা,কোথায় বিএনপির নের্তৃবৃন্দু আজকে আমাদের এই দূর্দিনে কেউ তো পাশে দাঁড়ালো না!
উল্লেখ্য, বিএনপির ডাকা চলমান অবরোধে ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদের তালা দিয়েছিল ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এ সময় ফেসবুকে লাইভ করা হয়। এ ঘটনার পর ছাত্রদল নেতা সজিব রায়হানের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল ছাত্রলীগ।