রফিকুল ইসলাম টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় বাজারে অবস্থিত অস্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদের নিচতলার দোকান থেকে বিগত ১০ জানুয়ারি রাত থেকে পরদিন সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা চোর চক্র আনুমানিক ৯৫ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামাল চোরি করে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে দোকানী বাদী হয়ে সখীপুর থানায় অজ্ঞাতনামা চোর চক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সাধারণ জনগনসহ স্কুলের শিক্ষার্থীরা এমন ঘটনায় আতংকিত হয়ে পুলিশের প্রতি চোর চক্রকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্যে আন্দোলন করতে থাকেন।এমন অবস্থায় সখীপুর থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমানের বিশেষ নির্দেশনায় এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম গঠন করে দ্রুত চোর চক্রের সন্ধানে মাঠে নেমে যান।প্রায় ২০ দিন অক্লান্ত পরিশ্রম ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে সখীপুর উপজেলাধীন হতেয়া রাজাবাড়ি গ্রামের আঃ বারেক (৫৭) পিতা- নোয়াব আলীকে পুলিশ গ্রেফতার করেন।পরে তার দেয়া তথ্য ও স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানা এলাকা থেকে মোঃ নাজমুল হোসেন (৩২), পিতা-মোঃ আঃ মালেক,ওরফে মনির হোসেন, মাতা-মোছাঃ নাছিমা বেগম এবং মোঃ ফরহাদ হোসেন (৩২), পিতা-মোঃ জয়নাল মিয়া, মাতা-ফাতেমা বেগম উভয় সাংসারদাগঞ্জ (০৪ নং ওয়ার্ড গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন), উপজেলা ও থানা- কাশিমপুর, জেলা গাজীপুরদ্বয়কে গ্রেফতার করে তাদের দেখানো চোরাই মালামাল একটি ফটোকপি মেশিন,একটি প্রিন্টার,একপি CPU,একটি লেমেনিটিং মেশিন,একটি মনিটর,একটি কিবোর্ড উদ্ধার করা হয়।এ বিষয়ে সখীপুর থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান বলেন,আমাদের পুলিশের চৌকস একটি টিম দীর্ঘ প্রায় ২০ দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সফল ভাবে আলোচিত চোর চক্রকে চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।এজন্য আমি সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের সদস্য আসামীদেরকে আজ ১লা ফেব্রুয়ারী সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।