মনোরঞ্জন রায় (পঞ্চগড় জেলা) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ে চুরি যাওয়া ০১ টি ফ্রিজিয়ান গাভীন গরু উদ্ধার সহ ঘটনার সাথে জড়িত মুল অপরাধী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ। পুলিশ সুপার পঞ্চগড় মহোদয়ের দিক নির্দেশনা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল এর সার্বিক তত্বাবধানে এবং অফিসার ইনচার্জ পঞ্চগড় সদর থানার নেতৃত্বে এসআই মোঃ সাহিদুর রহমান, এস আই মোঃ শামসুজ্জোহা সরকার, এএসআই/মোঃ আজিজুর মিয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ পঞ্চগড় সদর থানা সহ বোদা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গরু চুরি মামলার মুল রহস্য উদঘাটন, বাদীর চুরি যাওয়া ০১ টি কালো রংয়ের ফ্রিজিয়ান গরু উদ্ধার সহ ঘটনার সহিত জড়িত মুল অপরাধী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছ। মামলার সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় গত ৩১/০১/২০২৪ ইং তারিখ রাত অনুমানিক ১০:৩০ মিনিটে বাদী সহ তাহার পরিবারের লোকজন খাওয়া দাওয়া শেষে পঞ্চগড় পৌরসভাধীন ৫ নং ওয়ার্ড কামাতপাড়াস্থ বসত বাড়ির পূর্ব দুয়ারী গোয়াল ঘরে নিম্ন বর্নার একটি গরু রেখে বাহিরে ছিটকিনী দিয়ে দক্ষিন দুয়ারী ঘরে ঘুমায়। বাদী ০১/০২/২৪ ইং তারিখে রাত অনুমানিক ০৪.৩০ মিনিটে প্রকৃৃৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘুম থেকে উঠে দেখে, তাহার পূর্ব দুয়ারী গোয়াল ঘরের দরজা খোলা । তারপর বাদী গোয়াল ঘরে প্রবেশ করে দেখে যে, তাহার গোয়াল ঘরে রাখা একটি ফ্রিজিয়ান গাভীন গরু, যার গায়ের রং কালো, শিং ছোট বাকা, বয়স জোয়ান, খুরের রং কালো, মূল্য অনুমান ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চশ হাজার) টাকা নাই। অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা ৩১/০১/২০২৪ ইং তারিখে রাত অনুমান ১০.৩০ মিনিট থেকে ০১/০২/২০২৪ ইং তারিখ রাত ০৪.৩০ মিনিটের মধ্যে সঙ্গোপনে তার পূর্ব দুয়ারী গোয়ালঘরের ছিটকিনী খুলিয়া গোয়ালঘরে প্রবেশ করে তার উপরোক্ত বর্ণনার গরুটি চুরি করেছে মর্মে থানায় এজাহার দায়ের করে। পরে অফিসার ইনচার্জ পঞ্চগড় সদর থানার মামলা নং ১০, তারিখ-০৬/০২/২৪ ,ধারাঃ- ৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড রুজু করত বাদীর চুরি যাওয়া গরু উদ্ধারে নামে পঞ্চগড় সদর থানার বিশেষ একটি চৌকস টিম। মামলার তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সোর্সের মাধ্যমে অত্র মামলার তদন্তে প্রাপ্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ রুহুল আমিন ওরফে ছোট মনাকে ০৬/০২/২৩ ইং তারিখ রাত ১২.৪০ মিনিটে পঞ্চগড় পৌরসভাধীন বাজার এলাকা হইতে গ্রেফতার করলে, সে বাদীর গরু চুরি কথা স্বীকার করেন। সে সময় ধৃত আসামীকে আরোও জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, মামলার ঘটনার তিন দিন আগে অপর পলাতক আসামী মোঃ রমজান আলী ওরফে সিদ্দি রমজান (৩৮) পিতা-মোঃ সলেমান আলী,সাং-তুলার ডাঙ্গা, থানা ও জেলা-পঞ্চগড় ধৃত আসামীকে বাদীর গরুটি চুরি করার প্রস্তাব দেয়। পলাতক আসামী রমজান ওরফে সিদ্দি রমজান এর পরিক্লপনা মোতাবেক মামলার ঘটনার দিন ধৃত আসামীসহ পলাতক আসামী ১। মোঃ রমজান, ২। মোঃ বেদুল ইসলাম বাবলা(৪০) পিতা- মৃত তছির উদ্দিন, ৩। মোঃ আলামিন ইসলাম (২৫) পিতা-আইবুল হক,উভয় সাং- শেখের হাট কায়েত পাড়া, ৪। মোশারফ হোসেন ছুটু (৫০) পিতা- মৃত আজিজার রহমান,সাং-খোলাপাড়া, সকলের থানা ও জেলা-পঞ্চগড়। বাদীর বাসায় সঙ্গোপনে পূর্ব দুয়ারী গোয়ালঘরের ছিটকিনী খুলিয়া গোয়ালঘরে প্রবেশ করে তাহার ফ্রিজিয়ান কালো গাভীন গরু, মূল্য অনুমান ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চশ হাজার) টাকা চুরি করে ০৪ নং কামাত কাজল দিঘী ইউনিয়নের কাটাবাড়ি এলাকায় (স্কোয়ারের বাধ সংলগ্ন) জনৈক হারুন এবং সুরজ জামালদ্বয়ের নিকট ৮০,০০০/= হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন। পলাতক আসামীরা ধৃত আসামীকে ৩০০০ হাজার টাকা দিয়া পরবর্তীতে আরো টাকা দিবে বলে চলে যায়। পর্বতীতে আটক আসামী মোঃ রুহুল আমিন ওরফে ছোট মনা এর তথ্য অনুসারে ০৬/০২/২৪ ইং তারিখে রাত ০২.৩০ মিনিটে ০৪ নং কামাত কাজল দিঘী ইউনিয়নের কাটাবাড়ি এলাকার (স্কোয়ারের বাধ সংলগ্ন) মোঃ হারুন ওর রশিদ এবং সুরুজ্জামালদ্বয়ের বসতবাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ হারুন ওর রশিদকে গ্রেফতার পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী হারুন ও পলাতক আসামী সুরুজ্জামালদ্বয় ৮০ হাজার টাকায় বিনিময়ে বাদীর চুরি যাওয়া গরুটি ক্রয় করে হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছ পুকুরী এলাকার জনৈক সেলিম (৩৮) পিতা-মোঃ কহিনুর সাং- পানিমাছ পুকুরী, থানা ও জেলা-পঞ্চগড় এর নিকট বিক্রি করেন মর্মে স্বীকার করেন। পরবর্তীতে ধৃত আসামীদ্বয় সহ পানিমাছ পুকুরী এলাকায় সেলিম এর বসতবাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে তার বসতবাড়ীর উত্তর কোনে পূর্ব দুয়ারী গোয়াল ঘরের ভিতর হইতে বাদীর চুরি যাওয়া গরু উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামীগণ আন্তঃজেলার গরু চোর দলের সক্রিয় সদস্য। তাহাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রহিয়াছে। উপরোক্ত আসামীদের গ্রেফতার সহ চুরি যাওয়া গাভী উদ্ধার হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। চোরাই গরু উদ্ধারে পঞ্চগড় জেলা পুলিশের সফলতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।