ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ শৈলকূপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বাগনী সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩ই ফেব্রুয়ারি রোজ মঙ্গলবার দুপুর ২ দুইটার দিকে দেখা গেল বিদ্যালয়ের প্রধান ফটো সহ সমস্ত স্কুলের রুমগুলো বন্ধ। স্কুলে কাউকে দেখা গেল না। তবে একটা রুমের ভিতর থেকে নারী পুরুষের আওয়াজ শোনা গেল। বাহির থেকে ডাকার পরে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো একজন নারী ও পুরুষ। রুমের গেটে লেখা রয়েছে লাইব্রেরী। উনার নাম জিজ্ঞাসা করা হলে উনি ওনার নাম বললেন সাথে থাকা নারীর নাম জিজ্ঞাসা করলে উনি বললেন উনি আমার স্ত্রী। স্ত্রী নিয়ে কেমন ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রুমে অবস্থান করছে এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উনি বললেন আমি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হিন্দু ধর্মের শিক্ষক। আমার বাড়ি বাগনি গ্রামে, বাড়ি থাকার মত কোন জায়গা নেই মাগুরা থেকে আসি। তাই আমরা দুইজন আজ এই রুমে আছি। প্রধান শিক্ষক এবং অন্যান্য শিক্ষকদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন স্যারেরা বাড়ি চলে গেছে। কেন চলে গেছে তার সুস্পষ্ট কোন উত্তর উনি দিতে পারেননি।অনার নিকট প্রধান শিক্ষকের মোবাইল নাম্বার চাইলে উনি সেই নাম্বারটা দিতে ইতস্ত বোধ করেন। উনি দেন এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাম্বার। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কে ফোন করলে? সভাপতি বলেন আমি শৈলকুপাতে আছি তবে স্কুল তো বন্ধ থাকার কথা না। তবে পাশে কালী পূজা হচ্ছে হয়তো সেই কারণে স্কুল বন্ধ করে সবাই পূজায় চলে গেছে।বিদ্যালয়ের তথ্য পাওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের নেই কোন ওয়েবসাইট। একটি ফেসবুক একাউন্ট পাওয়া গেল তাতে নেই কোন তথ্য। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল বাবুর নামে একটি মোবাইল নাম্বার পাওয়া গেল কিন্তু ওই মোবাইল নাম্বারটি তে ফোন করলে যিনি ধরলেন তিনি বললেন আমি পরিমল বাবু নয় আমি সহকারি প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়। মোবাইলটা আমার কাছে এক ঘন্টা পর আমি আপনাকে জানাতে পারবো। কিন্তু ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করার পরেও তার দিক দিয়ে আর কোন সাড়া পাওয়া গেল না। অজানা রয়ে গেল কি কারনে বাগনি সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭