ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালিচরনপুর ইউনিয়নে নির্বাচন সহিংসতার কারণে উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামের একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা।এছাড়া হামলার ভয়ে অনেকেই গ্রাম থেকে গাঢাকা দিয়েছে।প্রতিপক্ষের হামলায় আহতরা হলেন,বসারত হোসেন মোল্লা (৬০) বসারতের স্ত্রী পারভিন খাতুন ও তাঁর শাশুড়ী।আহতরা সবাই ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।হামলার বিষয়ে ভুক্তভোগী বসারত জানান,আমরা স্থানীয় মিজু মেম্বারের সামজিক লোক সবাই শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী সুমি সিদ্দিকীর নৌকার ভোট করেছি।ভোটে ফেল করার পর থেকেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীরের লোক হুমকি ধামকি ও বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।সেই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে মাঠে ধান লাগানোর জন্য পানি দিতে যায় মেশিনে।তখন গ্রামের বিরোধী সমাজের প্রায় ২৫,৩০ জন পাশের ভুট্টা ক্ষেত মধ্যে দিয়ে গোপনে এসে চারদিক দিয়ে ঘিরে আচমকা মারধর করে ফেলে রেখে যায়।পরে আমার বাড়িতে গিয়ে ইটপাটকেল মারে।এসময় আমার স্ত্রী নিষেধ করলে থাকে হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে ও মাথায় ইট ছুড়ে মারে তাঁরা আমার বাড়িতে বেড়াতে আসা বৃদ্ধ শাশুড়ী কেউ মারধর করে। আমাদের অনেকেই বাড়িঘর ছাড়া।নৌকার সমর্থকের মারধরের বিষয়ে ইগলের সমর্থক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,কাস্টসাগরা গ্রামে পূর্বের মারামারি কারণে একটা গোলযোগ হয়েছে পরে আমি সেখানে গিয়ে একটা সমাধান করার কথা বলেছি।এরপর মারামারি করলে ছাড় দেওয়া হবেনা। আমারা সবাই শান্তিতে বসবাস করতে চাই।নৌকার সমর্থকদের মারধরের বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানা অফিসার ইনচার্জ শাহিন উদ্দিন জানান,কালিচরণপুর ইউনিয়নে একটি মারামারি হয়েছে।ঘটনা শুনেই পুলিশ পাঠিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছি বর্তমান পরিস্থিতি ঠান্ডা।এবিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ এসেছে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।