ঝিনাইদহ শৈলকূপা উপজেলার ১২ নং নিত্যান্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে সরকারি রাস্তার ৩৬টি রেন্টি কড়াই গাছ নিজের মালিকানা দাবি করে কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গাছ গুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বকশিপুর বাজার সংলগ্ন ১৬৭ নং ভান্ডারিপাড়া মৌজার ৩৫ শতক জমির মধ্যে রাস্তার পাশের গাছগুলো কেটে ফেলে রাখতে দেখা যায়। এছাড়া গাছের অবশিষ্ট খড়ি ইট ভাঁটা ও তামাকের জ্বালানি হিসাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়ছে। আর মাঝারি সাইজের লগ গুলো পশের করাত কলে ফেলে রাখা হয়েছে ফাঁড়াই করার জন্য।
স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ার কারণে চেয়ারম্যানের বিষয়ে সরাসরি কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু'একজন এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, গাছ গুলোর আনুমানিক বয়স প্রায় ৩৬ বছর। সরকারি রাস্তা হওয়ার সময় গাছগুলো লাগিয়ে ছিলো কতৃপক্ষ এখন কিভাবে গাছ গুলো চেয়ারম্যানের হয় তা তাদের জানা নেই। তাঁরা বলেন বাগুটিয়া এমপির মোড় হতে হাটফাজিলপুর বাজার পর্যন্ত রাস্তার দু'ধারে এরকম শতশত কড়াই গাছ আছে তাহলে সেগুলো কি মালিকানা গাছ?
সরকারি রাস্তার গাছ কাঁটার বিষয়ে শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বকশিপুর বাজারে মফিজ চেয়ারম্যানের কিছু গাছ কাটা দরকার বলে তাকে মৌখিক জানিয়েছে তবে কোন কাগজপত্র দেয়নি মোবাইলে দেওয়ার কথা বলেছে। তবে আমি সরজমিনে বিষয়টি দেখে আপনাদের জানাবো। গাছ কাঁটার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান কে পাঠান। গাছ কাঁটার বিষয়ে নায়েব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘটনাস্থলে আমি সেখানে গিয়ে দেখি তাদের কাছে শুধু মাত্র একটা জেলা পরিষদের দরখাস্তের কাগজ আছে এতে প্রমাণিত হয় না গাছগুলো তাদের। আমি গাছ গুলো জব্দ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।
সরকারি গাছ কাঁটার বিষয়ে সরাসরি মফিজ চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে সে জানান,আমার জমি রাস্তার মধ্যে ৫ শতক ঢুকে গেছে। আমি আরো সরকারের কাছে জমি পাবো গাছ আমার জমির সীমানায় পড়েছে বলে কেটেছি ওই জমিতে মার্কেট করব। জেলাপরিষদের সার্ভেয়ার দেখে গেছে এখন আবার ইউএনও ঝামেলা করছে যা হবে তা পরে দেখবো। রাস্তার পাশের গাছ কাঁটার বিষয়ে জেলা পরিষদের সচিব সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পরিষদের সার্ভেয়ার একটা দরখাস্ত জমা দিয়েছে এবিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। ইউএনও সাহেবকে নির্দেশ দিয়েছি গাছগুলো বর্তমান জব্দ তালিকায় আছে। গাছ গুলো কোন সমিতির মাধ্যমে লাগানো হতে পারে তদন্ত করে সঠিক আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭