ফরহাদ হোসাইন (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি ঃ লক্ষ্মীপুরে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গনে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।বুধবার (৩১ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় রঙিন বেলুন ও উৎসবের ফেস্টুন উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সুরাইয়া জাহান।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ (পিপিএম), সিভিল সার্জন আহাম্মদ কবির, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাহবুবুল করিম, জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. জাকির হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সাজিয়া পারভীন, প্রাক্তণ অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইন উদ্দিন পাঠান, প্রমূখ।সাংস্কৃতিককর্মী রাফি নাহিদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কালচারাল অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান মনির। এসময় বিভিন্ন স্টলে নিজ হাতে বানানো অর্ধশতাধিক পিঠার সাজানো পসরার সাথে পরিচিত হয়ে এর স্বাদ গ্রহণ করেন অতিথিবৃন্দ। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।এছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসা মানুষজনও হৃদয় হরণ, ফুলি পিঠা, মাছ পিঠা, পাটি সাপটা ও নারিকেল পিঠা সহ নানান ধরণের পিঠার স্বাদ নিয়েছেন। এ আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে।পিঠা উৎসবে পাটি সাপটা, মুগ পাকন, ক্ষীর পাটি সাপটা, জেলি কেক, বরফি, পান্তুয়া, দুধ চিতল, ডাল পাকন, সাকুর পিঠা, পদ্মার ইলিশ পিঠা, শুকনা পিঠা, লতা পিঠা, নকশি পিঠা, ঝুনঝুনি পিঠা, শামুক পিঠা, ভাপা পিঠা, হৃদয় হরণ ও নারিকেল বেলি পিঠাসহ দুই শতাধিক পিঠা দেখা গেছে। একেকটির স্বাদ একেক রকম। একেকটি দোকানে ৫০ ধরণের পিঠা থাকলেও সবগুলোর নামও অজানা অনেকের কাছেই।
পিঠা উৎসব উপভোগ করতে আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত পৌষ মাসে পিঠা উৎসব হয়ে থাকে। তবে শীত মানেই বাড়িতে বাড়িতে পিঠা তৈরীর উৎসব। যদিও এখন আর গ্রাম ছাড়া শহরে পিঠা দেখা যায় না। খাওয়াতো অনেকে দূরে, অনেক পিঠার নামও এখন মনে পড়ে না। এখন শহরের মানুষের একমাত্র ভরসা রাস্তার পাশে বানানো চিতই আর ভাপা পিঠা। মফস্বল শহরেও একই অবস্থা।
সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত পিঠা উৎসব প্রশংসনীয়। কুয়াশা ঘেরা বিকেলে পিঠা উৎসবটি আনন্দদায়ক ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। শেষে উৎসবস্থলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সুরাইয়া জাহান বলেন, শীত মৌসুমে হরেক স্বাদের পিঠা-ফুলির আয়োজন বাঙালী লোকজ সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেশীয় এ ঐতিহ্যকে লালন করার উদ্দেশ্যে সারাদেশের ন্যায় লক্ষ্মীপুরে সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় আড়ম্বর পরিসরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ উৎসবে সবাইকে আসার আমন্ত্রন জানিয়ে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন সহ এর সমৃদ্ধিতে সকলের অংশগ্রহণ কামনা করেন জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭