ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: মাগুরা সদর উপজেলা হাজরাপুর ইউনিয়নের আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষদের কাছ থেকে ঋণ দেওয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোছাঃ রোজিনা খাতুন (গ্রাম নন্দলালপুর) তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তারা নিজেকে পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির মাঠকর্মী পরিচয় দিয়ে লোন প্রদানের কথা বলে। এবং বলে যে, এক লক্ষ টাকা লোন নিতে হলে ১১ হাজার টাকা সঞ্চয় করতে হবে। আমি অদ্য অনুমান – ০৮.৩০ ঘটিকার সময় সমিতির মাঠকর্মী পরিচয় কারী কে লোন পাওয়ার জন্য সঞ্চয় হিসাবে ১১.০০০/- টাকা দেই।পরবর্তীতে আমাকে বিকাল ৩ ঘটিকার সময় লোন দিবে বলে। বিকাল ৩ ঘটিকার দিকে তার সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করিলে সে জানাই আজ টাকা না দিতে পারলে আগামীকাল সকাল ১০.০০ টায় টাকা দিব। আমি ছাড়া আরও অনেক মানুষ লোন গ্রহণের ইচ্ছায় তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে সে বিকাশের মাধ্যমে ০১৭৯৩৬১৪২৮৯ নাম্বারে সঞ্চয়ের ১১.০০০/- টাকা পাঠাতে বলে এবং দেখা করতে বললে অনেক ব্যস্ত বলে দেখা করতে পারছে না বলে জানাই। আমরা আরো কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানতে পারি, হাজরাপুর ইউনিয়নের নন্দলাল পুর গ্রামের দরিদ্র কৃষকের স্ত্রী মোছাঃ সাবিনা খাতুন এর থেকে ১১.০০০/- টাকা, খালিমপুর, উত্তর বিরপুর ভ্যান চালক শাহজান শেখ এর কাছ থেকে ৬০০০/- টাকা,হাজরাপুর গ্রাম কৃষক মোঃ সুমন কাজীর থেকে ১১.০০০/- টাকা সহ ওই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অফিসের ঠিকানা জানতে চাওয়া হলে জানা যায় হাজরাপুর ইউনিয়নের ইছাখাদা বাজারের পাশেই একতলা বিশিষ্ট একটি ছাদ ওয়ালা বাড়ী ভাড়া নিয়ে অফিস খুলেছে।অফিসের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে গেলে দেখতে পাই অফিসের গেটের পাশে একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো আছে, অফিসের মূল গেটটিও তালা বদ্ধ,অফিসের কোন কর্মচারী কেউ দেখতে পাওয়া যায়নি। বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে চাইলে কয়েকবার ফোন দেয়ার পরেও ফোনটি রিসিভ হয়নি।