রাজিবুল ইসলামঃ পুরো নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ। বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস। অ্যাকুরিয়ামে শোভাবর্ধনকারী হিসেবে রাখা হয় বিদেশি প্রজাতির এ মাছটিকে।বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ডোবা-নালাসহ বিভিন্ন জলাশয়ে হরহামেশাই দেখা মিলছে মাছটির। দেখা মিলছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি)বিভিন্ন জলাশয়গুলোতেও।দ্রুত বংশ বিস্তারকারী মাছটি জলজ পোকামাকড় ও শ্যাওলার পাশাপাশি ছোট মাছ এবং মাছের পোনা খেয়ে থাকে। তাছাড়া সাকার ফিশের পাখনা খুব ধারালো। ধারালো পাখনার আঘাতে সহজেই অন্য মাছের দেহে ক্ষত তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে পচন ধরে সেগুলো মারা যায়।সাকার ফিশ রাক্ষুসে প্রজাতির না হলেও প্রচুর পরিমাণে খাবার ভক্ষণ করে। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্গে খাদ্যের জোগান নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে না বিলুপ্তির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছের।বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রজাতির সাকার ফিশ ১৬-১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। মাছটি পানি ছাড়াই প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে। ইতিমধ্যে এই মাছটির অতিরিক্ত দেখা মিলছে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীতে৷ যাতে করে প্রতিনিয়ত খাবার হিসাবে দেশীয় প্রজাতির মাছ নিধনে পরিচিত পাচ্ছে। তাই এবার দেশীয় মাছ বিলুপ্তির কথা চিন্তা করে ব্যতিক্রমী একটা উদ্যোগ নিয়েছেন মোহাম্মদ পাটুয়ারী নামের এই উদ্যোক্তা। ভয়াবহ এই সাকার মাছ সংগ্রহ করে বানিজ্যিক ভাবে অর্থনৈতিক সম্পদে পরিণত করতে এই মাছ দিয়ে তৈরী করছে পশুর ফিড। প্রাথমিক ভাবে কুকুর, বিড়াল ও হাস মুরগীর খাবার হিসাবে এই মাছকে প্রক্রিয়াজাত করনের মধ্যে দিয়ে পশুর খাবার তৈরী করছে এই উদ্যোক্তার আবু সুফিয়ান স্টোর। সংশ্লিষ্ট মহলের পরামর্শ ও সরকারি পৃষ্টপোষকতায় তার এই উদ্যোগ নিয়ে যেতে চায় অনেক দূর।