ঢাকাসোমবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ খবর

শৈলকুপায় থানায় ওসির সামনে আপোষ নামা করে বেরিয়ে এসে রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে ইউপি সদস্য খুন করল প্রতিপক্ষরা


অক্টোবর ১৬, ২০২৩ ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জেলা প্রতিনিধিঃ খুনের পর খুনিরা ভয়াবহ তাণ্ডব চালালো গ্রামে।১৬ই অক্টোবর রোজ সোমবার শৈলকুপা উপজেলার আব্ইপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড এর নির্বাচিত ইউপি সদস্য মিনগ্রামের হাবিবুর রহমান রিপনকে রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোটরসাইকেল চালানো অবস্থায় হামলা করে আহত করে প্রতিপক্ষরা। পরে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদাহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে ভোররাতেই মারা যায় ইউপি সদস্য আবাই পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আবাই পুর রামসুন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের ছোট ছেলে হাবিবুর রহমান রিপন। তার সাথে আরো আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি একই গ্রামের তালেব কাজির ছেলে কাজী আমিরুল ও আনজুর ছেলে রাসেল।আবাইপুর ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলামের তথ্য মতে জানা যায় যে গত শনিবার বিকালবেলা সাত আট বছরের বয়সী পাঁচ ছয়টা ছেলে দুলাল বিশ্বাসের ফেস্টুন ইট মেরে ছিঁড়ে ফেলেছিল। এই ঘটনায় হাবিবুর রহমান রিপন ওই বাচ্চা ছেলেদের ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওরা বলে যে মিঠু ও মোস্তাক তাদেরকে টাকা দিয়ে বলেছে যে দুলাল বিশ্বাসের ফেস্টুন গুলো ছিড়ে ফেল। তখন ইপি সদস্য রিপন ওই মোস্তাকদের জিজ্ঞাসা করলে ওদের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হাতাহাতি হয়। এই ঘটনায় থানায় উভয় পক্ষ অভিযোগ দায়ের করে। তখন হার্ট ফাজিলপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই অহিদ রিপনের পক্ষের দুইজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আস। এই ঘটনা নিয়ে উভয়পক্ষ রবিবার রাতে থানায় আসে। থানায় অফিসার্স ইনচার্জ এর রুমে তাদের আপোষ মীমাংসা হয়। এই আপোস মীমাংসার সময় সেখানে উপস্থিত ছিল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা, মনোহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুল ও আবাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল বিশ্বাস।থানায় আপোষ মীমাংসার পর মিঠু বিশ্বাস এরা এলাকায় ফিরে আসে। কিন্তু ইউপি সদস্য রিপন এর সমর্থকরা শৈলকুপার বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কাজ শেষে ৯ জন তিন মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিল। এই সময় আবাইপুর গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ড পার হয়ে একটু এগিয়ে কলা গাছের নিকট পৌঁছালে রাতের আঁধারে ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ রিপন মেম্বারদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এবং রিপন মেম্বার সহ তার মোটরসাইকেলের দুইজনকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। রিপন মেম্বারের সাথে যারা ছিলেন মোটরসাইকেলে তারা হলেন কাজী আমিরুল, রাসেল, পিকুল, আতিয়ার, কামরুল, মধু, হাসিবুল ও আলমাস।এই দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা এদের উপর শুধু হামলা চালিয়েই খুন করে ক্ষ্যান্ত হয়নি। এই ঘটনা ঘটার পরে এরা রাত্রে চারটের দিকে মিনগ্রামের ১৬ টি বাড়ি। রিপন মেম্বার সমর্থকদের ভাঙচুর ও লুটপাট করে।গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন আছে। তবে খুন হয়ে যা রিপন মেম্বার এর সমর্থকরা ব্যাপক ভয়ের মধ্যে আছে। যার কারনে কারা এই খুন করেছে তাহা জানলেও তারা সাংবাদিকদের নিকট মুখ খুলছে না। সাংবাদিকদের বলেছেন আমরা যদি তাদের নাম প্রকাশ করি আর আপনারা যদি তা প্রচার করেন তাহলে আমাদের নিরাপত্তা থাকবে না। আপনারা কি আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারবেন বলে প্রশ্ন তুলেছেন। রিপন মেম্বার এর সাথে থাকা একজন নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে সাংবাদিকদের জানান যে এই সময়ে রাত্রে মিন গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিডি আর গোলাপ মোল্লার ছেলে নজরুলের নেতৃত্বে তাহের লিকু কবির ,রানা ,জুমারত ,মজিদ, বদিয়ার সহ ৪০/৫০ জনের একটি গ্রুপ গ্রামে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।এই ঘটনা নিয়ে শৈলকুপা থানা অফিসার্স ইনচার্জ ঠাকুরদাস মন্ডল এর সাথে মোবাইলে কথা বললে সে বলে যে গতকাল রাত্রে উভয় গ্রুপ আর এলাকায় কোন গোলমাল করবে না এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখবে এই মর্মে থানায় মুষলকা দিয়ে এসে তারপরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরো বলেন তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটনার পরে হত্যাকারীরা এই গ্রামের ১৬ টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে আমরা তার ছবিগুলো তুলে রেখেছি। পুলিশ আসার পরে আর কোন বাড়ি ভাঙচুর করতে পারেনি। এলাকায় এখন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।