মোঃ মানিক হোসেন, বেড়া(পাবনা): দীর্ঘ কয়েক বছর সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে চকপাড়া মসজিদ হতে নলভাঙ্গা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তা । ৭ কিলোমিটার রাস্তার ভাঙা অংশের ৩ কিলোমিটার বেড়া পৌরসভার নিয়ন্ত্রণধীন ও ৪ কিলোমিটার বেড়া উপজেলা এলজিইডির। এতে দুই ইউনিয়নের প্রায় ১৭ হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ সড়কের বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চাকলা নলভাঙ্গা ইউনিয়নের ও বড়শিলা গ্রামের হাজারো মানুষ। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ-খোয়া উঠে গেছে অনেক আগেই। এখন সেখানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দের। ফলে সড়কে প্র্য়াই ঘটছে দুর্ঘটনা। বৃষ্টি হলে পানি জমে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। সংস্কারের অভাবে সড়কের পুরোটাই খানাখন্দে ভরে গেছে। ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। সড়কের বেহাল দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভুগি এলাকা বাসি।বেড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার (এলজিইডির) সুত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় করে পৌর এলাকার বরশিলা থেকে চাকলা নলভাঙ্গা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মান করেন বেড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি। এতে করে চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা নলভাঙ্গা, চাকলা,দমদমা,কুশিয়ারা,আপানিয়াসহ অন্তত ১৫ গ্রামের বাসিন্দাদের উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ সহজ হয়ে যায়। এ ছাড়া দৈনন্দিন কাজে ও কৃষিপণ্য বিক্রি করতে বেড়া বাজার ও চতুর হাটে আসতে দুর্ভোগ কমে যায় এলাকার হাজার হাজার মানুষের।৯ বরশিলা গ্রামের, মোঃ আঃ হালিম, ইলিয়াস, একেএম ফজলু, মনির, সহ বেশ কয়েকজন মহল্লাবাসী অভিযোগ করে বলেন তাদের এ সড়কটি বেশ কয়েক বছর হলো অবহেলার মধ্যে রয়েছে। সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। এমন দুরাবস্থাপূর্ণ সড়ক পুরো উপজেলায় আর নেই। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রাতে অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে এলাকার লোকজন দুর্ঘটনার কবলে পরে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাস্তাটি সংস্কার করবেন কিন্তু তারা আজ পর্যন্ত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সড়কটি মেরামতের জন্য অনুরোধ জানান এলাকাবাসি।পাচুরিয়া গ্রামের মোঃ ওমর ফারুক বলেন, সড়কটিকে নির্মানের ফলে তাঁরা ঢাকা পাবনা মহাসড়ক পরিহার করে খুব সহজে উপজেলা সদর ও চতুর হাটে আসতেন। এতে করে তাদের মহাসড়কে চলাচলে ঝুকি ও যাতায়াতের অনেক খরচ কম হতো। বতমানে রাস্তাটির অবস্তা এমন খারাপ যে হেটে চলাচল করাই বিপদ হয়ে পরেছে।বেড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বলেন,বড়শিলা মহল্লাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে জরুরি ভাবে মাটি ফেলে সচল রাখা হয়েছে অর্থ বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে।এলজিইডির বেড়া উপজেলা প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান বলেন, তাদের নির্মান করা ৭ কিলোমিটার সড়কের সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।চলতি অর্থ বছরে বরাদ্দ পেলে জরুরি ভাবে সড়কটি মেরামত করে যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত করা হবে। এবং বন্যার পানি কমলে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭