বেড়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ ভালোবাসার রঙিন টানে, বাঁচবে জীবন রক্তদানে। তুচ্ছ নয় রক্তদান, বাঁচতে পারে একটি প্রান, এই স্লোগানকে সামনে রেখে বেড়ার একঝাক মানবিক তরুণ ২০১৮ সালে মানবতার ইচ্ছা নিয়ে ”বেড়া রক্তদাতা ইউনিট” নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আত্বপ্রকাশ ঘটান। তারই ধারাবাহিকতাই ০২/০৯/২৩ ইং তারিখে ২য় পর্যায়ে আগামী ২ বছর মেয়াদী উক্ত কমিটির অনুমোদন দেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রাহুল কুমার দাস, উপদেষ্টা ডাঃ তাপস কুমার দাস, সহ প্রতিষ্ঠাতা হাবিবুল্লাহ হাবিব। বেড়া রক্তদাতা ইউনিট নতুন সভাপতি মোঃ ফারহান আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সোহেল রানা, সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার কবির (তপু) যুগ্ন সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হুরায়রা (শুভ) সহ ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আগামী দুই বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
বেড়া রক্তদাতা ইউনিট একটি অরাজনৈতিক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যাদের মাধ্যমে মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তদাতা (ব্লাড ডোনার) খুজে পাওয়া যায় খুব সহজেই। মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজনে স্বজনের একটি ফোন কল পেলেই চলে। রোগীর যাবতীয় তথ্য জেনে,সে অনুয়ায়ী রক্তদাতা জোগাড়ে ছুটে চলে সংগঠনের প্রতিটি সদস্য। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে বেড়া রক্তদাতা ইউনিটের সুনাম উপজেলার গুন্ডি পেরিয়ে ছরিয়ে পড়ছে পাবনা জেলা সহ আশপাশের কয়েকটি জেলায়। বর্তমানে দশ হাজার জন রক্তদাতার সাথে যোগাযোগ এই ইউনিটের। বিনা অর্থে প্রতি বছর দুই হাজারের বেশি সংখ্যক মুমূর্ষু রোগীকে রক্তদান করছেন সংগঠনের সদস্যরা। কোনো টাকা পয়সা না নিয়ে এমন মানবিক কাজের জন্য জেলা জুড়ে সুনাম রয়েছে সংগঠনের। মানুষের মাঝে এক রকম ভয় ছিলো রক্তদান করলে শরীরের ক্ষতি হয়। মানুষের মাঝ থেকে এ ভয় দূর করেছেন রক্তদাতা ইউনিট।
সংগঠনের উপদেষ্টা মন্ডলী ডাঃ তাপস কুমার দাস ও ময়েন উদ্দিন খাজা বলেন, একবার ভাবুন, আপনার দেওয়া এক ব্যাগ রক্ত একসঙ্গে বাঁচতে পারে তিনটি প্রাণ। সে মুহূর্তে আপনার যে মানবিক তৃপ্তি তাকে তা কখনোই অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা সম্ভব নয়। রক্তদানের মাধ্যমে মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ বাড়ে। রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যান্ত পূণ্যের কাজ। যারা নিজের জীবন বাজি রেখে রক্তদান করে মানুষের জীবন রক্ষা করেন, নিঃশ্বন্দেহে তারা অনেক বড় মনের মানুষ। রক্তদান আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্বও বটে। এটা সম্পূর্ণ মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক কার্যক্রম। এর মাধ্যমে সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করে, এমনকি ধর্মীয় সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সুতরাং আসুন, আমরা প্রত্যেকে হয়ে উঠি একেক জন রক্তযোদ্ধা এবং রক্ত দিয়ে পৃথিবীর প্রাণস্পন্দনে অবদান রাখি।