ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ রোজ সোমবার ১৮ই সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটিতে বেলা ১২:০০ টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে আজি বক্স বলেন আমি মোঃ আজিবর রহমান, গ্রাম- শ্রীফলতলা, উপজেলা হরিনাকুন্ডু, জেলা ঝিনাইদহ। আমি গ্রামের একজন সহজ-সরল চাষী। প্রথম থেকেই কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে চাষাবাদ করে আমি এবং আমার পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। এই চাষাবাদের উপার্জন দিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়েছি। বর্তমান আমার একটা ছেলে ইন্জিয়ার, আরেকটি ছেলে বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করায় অর্থনৈতিক ভাবে অনেকটা সাবলম্বী হতে পেরেছি। এমতাবস্থায় গ্রামের অনেকেই বিপদে পড়ে আমার কাছে জমি বন্ধক রাখতে আসে। আমি তাদের বিপদের কথা শুনে সরল মনে জমি বন্ধক রাখি এবং তাদের বিপদের কথা ভেবে তাদের কাছেই জমি চাষ করার জন্য কন্ট্রাক দিয়ে আসছি।এই জমি বন্ধক দেওয়া বা নেওয়া আইনের চোখে অপরাধ কিনা আমি জানিনা। আমি লেখা পড়াও জানিনা, তাই গ্রামে এরকম অহরহ চলতে দেখে আমিও করেছি। এতে যদি অপরাধ হয় আমি না জেনে, না বুঝে করেছি। এখন থেকে আর করবো না।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৭/৮ দিন আগে আমার বাড়িতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায় আমি মর্মাহত। যে কারণে প্রকৃত সাংবাদিক হিসেবে আপনাদের অবগত করাতেই আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। গত আনুমানিক ৭/৮ দিন আগে হঠাৎ করেই স্থানিয় সাবেক মেম্বার সাইদুল, সাবেক মেম্বার সাহেব আলী, আজিজুল শেখ ও জামালসহ সাংবাদিক পরিচয়ে ইনসান আলী, আশরাফুল, সিহাব ও শহিদুজ্জামান বাবু নামে কয়েকজন সাংবাদিক মোটরসাইকেল যোগে এসে আমার বিনা অনুমতিতে বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময়য় তারা বলেন, তাদের কাছে নাকি অভিযোগ আছে যে, আমি সুধে কারবারি করে এলাকার মানুষদের নিঃশ্ব করে ফেলেছি। আমি তাদের কাছে জমি বন্ধক রাখার বিষয়ে স্বীকার করলেও তারা উদ্যেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাকে জোর করে সুদে কারবারির তকমা লাগিয়ে আমার কাছ থেকে ২ লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবি করে কথিত সাংবাদিক ইনসান আলী ও সাইদুর মেম্বার। আমি দিতে অস্বীকার করায় তারা নিউজ করে দেবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। গত ২/৩ দিন আগে ইনসান সহ আরো ২/৩ জন সাংবাদিক আবারো এসে চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অস্বীকার করায় তারা আবারো নিউজ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে বলে এই নাম্বারে যোগাযোগ করে ৩০ হাজার টাকা পাঠাতে । যার মোবাইল নাম্বারটি হলো, ০১৯১০৮১৩৫৯৯। আমি তাদের দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ না করায় গত শনিবার '"হরিণাকুন্ডুতে অভিনব কৌশলে আজি বক্সের সুদের ব্যবসা" শিরোনামে দৈনিক এই আমার দেশ, দৈনিক গড়ব বাংলাদেশ" সহ বিভিন্ন শিরোনামে Live BD jhenada, jas Tv. News.Press, তালাশ টাইমস্ নামে বিভিন্ন আইডি থেকে অনলাইনে মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করা হয়। যা আমার কাছ থেকে তাদের অসৎ উদ্যেশ্য চরিতার্থ করতে না পেরে, উদ্যেশ্য প্রনোদিত ভাবে সামাজের কাছে আমাকে মানহানি ঘটানো হয়েছে বলে আমি মনে করছি। এমতাবস্থায় আমি সমাজের কাছে মুখ দেখাতে না পেরে কয়েকবার আত্মহত্যার মত জঘন্যতম পাপ কাজ করার জন্য উদ্যোত হয়েছিলাম, আমার পরিবার টের পাওয়ায় যদিও তা সফল হয়নি, তবে পরিস্থিতির কারণে যদি এমন পথ বেছে নিতে হয় তবে এর জন্য দ্বায়ী থাকবে সাইদুল মেম্বার, কথিত সাংবাদিক ইনসান, শহিদুজ্জামান বাবু, আশরাফুল ও শিহাব।আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি আমি অ-শিক্ষিত মানুষ হিসেবে সুদে কারবারী বলে যা জানি তা হলো, নগদ টাকা দিয়ে তার লাভ নেওয়া। আমি তা কখনোই করিনি বা করবোও না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, তার সত্যতা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে সঠিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন। এটা আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ।আপনাদের আরো অবগত করাতে চাই যে, আমার নামে যে নিউজের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, সেই ভিডিওতে যাহারা সাক্ষাৎকার দিয়েছে তাদের একজনের কাছ থেকে আমার ৬ শতক জমি বন্ধক রাখা আছে। বাকিদের সাথে আমার কোন দিন কোন লেন দেন হয় নাই। আমি গ্রামের একজন পাট ও তামাক চাষি। আমি সারাজীবন চাষ করে আসছি। এই সাবেক মেম্বার সাইদুল ও কথিত সাংবাদিক ইনসান আমার কাছ থেকে চাঁদা নিতে না পেরে, আমি একজন সুদে কারবারি অভিযোগ দিয়ে হরিনাকুন্ডু থানা থেকে পুলিশ এনে আমাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করেছিল।পরে থানা থেকে আসা পুলিশ সদস্যরা তদন্ত করে আমাকে দোষী প্রমাণিত করতে না পারাই পুলিশ আমাকে গ্রেফতার না করে চলে যায়। আমি এই সাবেক মেম্বার সাইদুল এবং কথিত সাংবাদিক ইনসানের সড়যন্ত্রের হাত থেকে বাঁচতে চায়। সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা আমার বিরুদ্ধে করা প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করে এই কথিত সাংবাদিক দের হাত থেকে আমাকে বাচতে দিন।আপনারা অবগত আছেন এবং আপনাদের মনে করে দিতে চাই যে, কিছু দিন আগে এই কথিত সাংবাদিক ইনশান একটা মেয়ে কে ব্ল্যাকমেইল করে তার স্বামীর সংসার থেকে বিতাড়িত করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেই মামলা এখনো আদালতে চলমান রয়েছে।এই বিষয় নিয়ে অনেক অনলাইনে নিউজ হয়েছে সেটা আপনারা জানেন। এছাড়াও কথিত সাংবাদিক শহিদুজ্জামান বাবু সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একজন মেয়ে কে ব্লাকমেইল করে। কিছুদিন আগে শহিদুজ্জামান বাবু চাঁদা বাজি করতে গিয়ে গন ধোলাই খেয়ে শৈলকূপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়েছিল বলেও আমরা ফেজবুকে দেখেছি। এরা কিসের সাংবাদিক এটা আমি বুঝতে পারিনা। এই সকল ধান্দাবাজ কথিত সাংবাদিকদের বিচার আওতায় আনা এখন মাত্র সময়ের দাবি।
আমি এই সংবাদ সম্মেলন শেষ হলে আদালতে যাবো। এবং এই চাঁদাবাজদের নামে মামলা করবো।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭