মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের একটি ট্রলার ডুবে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও চার জন।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার তালতলা-গৌরগঞ্জ খালের রসকাঠি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কায়েস আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃতরা হলেন জীবিতি উদ্ধার হওয়া জাহাঙ্গীরের স্ত্রী হ্যাপি (২৮), তাদের ছেলে সাকিব (৮), সাজিবুল (৪) ও জাহাঙ্গীরের শ্যালিকা পপি (২৩)। তাদের বাড়ি লতব্দি ইউনিয়নের খিদিরপুর এলাকায়। বাকিরা হলেন ফারিহান (১০), মোকসেদা (৪২) ও রাকিব (১২)। বাকি একজনের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কায়েস আহম্মেদ আরও বলেন, ‘শনিবার দুপুরে সিরাজদিখান উপজেলার লতাব্দি ইউনিয়নের নারী-শিশুসহ ৪৬ জন ব্যক্তি ট্রলারে করে পদ্মা নদীতে পিকনিকে যান। সন্ধ্যায় পিকনিক শেষে ট্রলারটি উচ্চ শব্দে গান বাজাতে বাজাতে তালতলা-গৌরগঞ্জ খাল দিয়ে লতাব্দির দিকে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে লৌহজংয়ের রসকাঠি এলাকায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারের অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও ১২ জন নিখোঁজ হন। এর মধ্যে আট জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। বাকি চার জন নিখোঁজ রয়েছেন।’
আউটশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেকান্দার ব্যাপারী বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। দুর্ঘটনাস্থানের উদ্দেশে রওনা হয়েছি। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়েছি ট্রলারে ৪৬ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত বলতে পারবো।’
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, ‘এ পর্যন্ত আট জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। ৩৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও চার জন নিখোঁজ আছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুমন দেব বলেন, ‘আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। তবে কতজন নিখোঁজ আছেন, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।’
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭