মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় পালিয়ে বিয়ের দেড়বছর পর বর পক্ষের স্বজনদের উপর হামলা চালায় কনে পক্ষের লোকজনেরা।এ ঘটনায় বর পক্ষের ৬ জন আহত হয়। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে,পাচঘরিয়া কান্দির আইনউদ্দিন বেপারীর ছেলে নাসির(২২) ও যোগিনিঘাট গ্রামের মো:হান্নান মিয়ার মেয়ে অন্তরা (১৯) দেড়বছর পূর্বে পালিয়ে বিয়ে করে।বিষয়টি মেয়ের পরিবার মেনে না নিয়ে ছেলের পরিবার কে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দমকি দিয়ে আসছিলো। ৬ মাস যাওয়ার পর মেয়ের পরিবার তাদের কে মেনে নেওয়ার কথা বলে মেয়ে-জামাই উভয় কে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে মেয়ের জামাই নাসির কে অপমান করে বের করে দিয়ে তাদের মেয়ে কে রেখে দেয়। পরে স্ত্রী কে ফিরে পেতে মুন্সীগঞ্জে কোর্টে শশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন নাসির। সেই অভিযোগের সুত্র ধরে মেয়ের আত্বীয়-স্বজন রবিবার রাত ১০ টায় নাসিরের মামার বাড়িতে হামলা চালায়। মেয়ের বাড়ি ও নাসিরের মামার বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় এ হামলা চালায় বলে জানায় স্থানীয়রা। এতে সাদ্দাম(৩২),রিফাত(২২),রাব্বির(১৯),আনোয়ার(৫২),জোসনা বেগম(৩৪),তাসলিমা বেগম(৩৬) আহত হয়। আহতরা মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে । এদের মধ্যে রিফাত এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বর নাসির হোসেন জানান, উভয়ের সম্মতিতে দেড় বছর পূর্বে অন্তরা ও আমি বিবাহ করি। অন্তরার পরিবার আমাদের মেনে নেয়নি। আমরা ভালোভাবেই সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ৬ মাস পূর্বে হঠাৎ করেই আমার শশুর আমাদের কে মেনে নেওয়ার কথা জানায়। আমিও সরল মনে বিশ্বাস করে ফেলি।এরপর তাদের বাসায় আমাদের দাওয়াত দেয় সেখানে যাওয়ার পরেই আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দমকি দিয়ে বের করে দিয়ে আমার স্ত্রী কে তারা রেখে দেয়। পরে আমি আইনি সহায়তা নিতে আমার শশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করি। অভিযোগ করার কারনে রবিবার রাতে আমার শশুরের আত্মীয় হাকিম,ইমরান,মাসুম,কাউসার,জুয়েল,আসাদ,তোফাজ্জল গংরা আমার মামা আনোয়ার হোসেন এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার মামা,মামি,খালা,খালতো ভাই,মামাতো ভাই দের মেরে আহত করে এবং ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও তারা হামলা চালায়। পরে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ আসে এরপর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ বিষয়টি মিমাংসা করিয়ে দিবে আশ্বাস দিলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা বা অভিযোগ করেনি।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা হান্নান মিয়া জানান, আমার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ভাবে নাসির বিয়ে করে। এরপর নাসির ও তার বাবা-মা যৌতুকের জন্য মেয়েকে মারধর করে। পরে আমরা মেয়ে কে নিয়ে আসি। গতকাল নাসিরের মামার বাড়ির সামনে দিয়ে আমার আত্বীয়রা যেতে ছিলো ওই সময় নাসিরের স্বজনরা এসে মারধর করে।