

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১০ হরিশংকরপুর ইউনিয়নের নরহরিদ্রা গ্রাম হতে ঠাকুর বাড়ির মন্দিরে যাবার রাস্তা তৈরির কথা ছিলো ভালো মানের ইট,বালি,খোয়া দিয়ে।
তবে এই রাস্তার ম্যাকাডোম করা হয়ছে শুধু মাটিবালি আর পরিত্যক্ত আমা ইট দিয়ে।
এছাড়া রাস্তাটির মধ্যে আগের যে সমস্ত পুরাতন ইট ছিলো সেগুলো মধ্যে সামান্য কিছু নতুন আমা ইট মিশিয়ে করা হয়ছে রাস্তার সাইড নির্মাণ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সামান্য বৃষ্টির কারণেই পাকা রাস্তায় হাঁটু সমান কাঁদা হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান,
রাতের অন্ধকারে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সাবদার আলী আর প্যানেল চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল গোপনে,
রাস্তাটি সম্পূর্ণ কাদা মাটি দিয়ে তৈরি করেছে।
বৃষ্টির কারণে রাস্তাটি এখন চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে গেছে।
বরং নতুন রাস্তার থেকে আগের পুরাতন রাস্তাটি ভালো ছিল বলে জানান গ্রামবাসী।
এবিষয়ে
স্থানীয় ইউপি সদস্য বদরুল হাসান লালু ও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন,
এরকম নিম্নমানের কাজ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
রাস্তাটি এখন দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।
এ কারণে আমরা রাস্তাটি পূনরায় সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার দাবি জানায় উপজেলা নির্বাহী মহোদয়ের কাছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,
সরকারে বাষিক উন্নয়ন তহবিল সহায়তা থেকে
রাস্তাটির জন্য উপজেলা থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪ লক্ষ ৭০০০ হাজার ৯০০ টাকা। নিন্ম মানের রাস্তা নির্মাণ করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, হরিশংকরপুর ইউনিয়নের একটি রাস্তায় নিন্মমানের কাজের বিষয়ে জানতে পেরেছি।
কোন ঠিকাদার রাস্তাটি করেছে সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে ফাঁকিবাজি করার কোন সুযোগ নেই।
তিনি আরো জানান,
যে এরকম খারাপ কাজ করবে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে। দরকার হলে রাস্তাটি পুনরায় সংস্কার করতে হবে ঠিকাদারের না হলে সে কাজের কোন বিল পাবে না।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭