কেএম সবুজঃ নিজের অপকর্মের কারণে প্রায় দীর্ঘ ১৬ বছর আগে চলে গেছে পুলিশের কনস্টেবল পদের চাকরি। জমা দেয়নি পুলিশের পোশাক ও পরিচয়পত্র। আর সেই সব সরঞ্জাম ব্যবহার করেই বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে দাপিয়ে বেড়ায় পুলিশের সাবেক কনস্টেবল মুজাহিদ (৩৪) ।
সম্প্রতি এমনি একজন ব্যক্তিকে জনগণ আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশ সোপর্দ করেছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া মুজাহিদ সাবেক পুলিশ কনস্টেবল ছিলেন। কিন্তু বর্তমানেও সে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য বলে সবার কাছে পরিচয় দেন। এরপর আশুলিয়ায় বেশ কয়েকজন কবুতর ব্যবসায়ীর কাছে থেকে দামি বেশ কয়েক জোড়া কবুতর নেন। টাকা চাইতে গেলেই নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এই অভিযুক্ত ব্যক্তি।
এমনই অভিযোগ নিয়ে রবিবার দুপুর ২ টার দিকে রাজধানীর আশুলিয়া পশ্চিম জিরাবো বাগানবাড়ী এলাকার একটি ভাড়া বাসায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এসে হাতেনাতে আটক করে অভিযুক্তের দ্বারা প্রতারিত কয়েকজন ভুক্তভোগী।
তাদের মধ্যে, হাফিজুর রহমান জানান, প্রায় ৮ মাস আগে অনলাইনের মাধ্যমে নাম্বার সংগ্রহ করে কবুতর নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে ভুক্তভোগীকে দেওয়া ঠিকানায় প্রায় ১৯ হাজার পাঁচশত টাকার কবুতর দিতে যান। এরপর ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তার সাথে প্রতারণা করে কবুতর নিয়ে চলে যায় অভিযুক্ত মুজাহিদ। যা নিয়ে রাজবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ ও করা আছে।
অপর ভুক্তভোগী,মনা জানান অনলাইনের ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করে তারা সারাদেশে কবুতরের ব্যবসা পরিচালনা করে । সেখান থেকে সি আই ডি পরিচয়ে এই মুজাহিদ তাকে ফোন দিয়ে তার বড় খামারে কবুতর লাগবে জানালে সেখানে সে প্রায় ৪২ হাজার টাকার কবুতর দিতে যায়। এরপর বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার সাথে ও প্রতারণা করে।
এমনি বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত মুজাহিদের কাছে প্রতারিত হয়ে অবশেষে তার গ্রামের বাড়িতেও যায়। সেখানে গিয়েও কোন সুরহা না পেয়ে অবশেষে অনেক খোজাখুজি করে আশুলিয়ার বাগানবাড়ি মুজাহিদের আত্মীয় বাসায় খুঁজতে এসে হাতেনাতে আটক করে আইনশৃংখলার জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দিয়ে আশুলিয়া থানার এস আই সাদজাদুল ইসলামের হাতে তুলে দেন।
এ সময় অভিযুক্ত মুজাহিদের কাছে থেকে মেয়াদউত্তীর্ণ পুলিশ কনস্টেবল পদের একটি পরিচয়পত্র ও উদ্ধার করা হয়। যা নিয়ে সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিতেন।
অভিযুক্ত মুজাহিদ (৩৪) ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার দূর্গাপুর গ্রামের আজিজার মিয়ার ছেলে। প্রতারণার কাজে সে রনি নামও ব্যবহার করে থাকে।তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা।