বেড়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেড়া উপজেলার কামারদের এখন মহাব্যস্ত। সিএন্ডবি চতুর বাজারে ঢুকতেই টুং টাং শব্দে মুখরিত কামার পল্লী। এই শব্দই জানান দিচ্ছে মুসলমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা সন্নিকটে। কিন্তু কোরবানির ঈদকে ঘিরে বেড়ার কামারপট্টিতে কর্মব্যস্ততা থাকলেও নেই কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক ক্রেতা। এই ঈদের অন্যতম অনুষঙ্গ পশু কোরবানি। আর এর জন্য প্রয়োজনীয় দা, ছুরি, বটি, চাপাতিসহ নানা যন্ত্রের চাহিদাও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। সেই চাহিদার জোগান দিতেই কামারপট্টিগুলো সাধারণত মুখর থাকে টুং টাং শব্দে। তাদের এই এক মৌসুমের আয়ই সারা বছরের ভরসা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিএন্ডবি চতুর বাজার, নাকালিয়া বাজার , কাজিরহাট, কাশিনার্থপুর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে কামারের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, সারি সারি ছুরি, চাকু, দা-বটি, চাপাতি বিছিয়ে রাখলেও ক্রেতার আনাগোনা না থাকায় এখন শঙ্কার ভাঁজ পড়েছে সারা বছর আগুনের উত্তাপ গায়ে জড়িয়ে লোহা পিটিয়ে যন্ত্রে পরিণত করা কারিগরদের কপালে। কয়েকজন কামারের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান বছরের ১১ মাসে যা আয় হয়, তার চেয়ে বেশি আয় হয় কোরবানি ঈদের এক মাস। ফলে এই এক মাসের আয়-উপার্জনের ওপরই তাদের অনেক আশা ভরসা থাকে।
সিএন্ডবি চতুর বাজারের সন্ধী কামার, আতোয়ার কামার, সমন কামার জানান ,গত বছরের তুলনায় এবছর ব্যবসা খুবই কম ধারাবাহিকভাবে কাজ করে গেলেও গত বছরের তুলনাই এবছর খুব অল্প সংখ্যক মানুষ দা, ছুরি, বটি ক্রয় বা শান দিতে আসছে বলে জানান এখানকার কামাররা। গত বছর কোরবানিকে সামনে রেখে পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার টাকা ইনকাম হয় এবার কাজ নেই বললেই চলে। তবুও শেষ পযন্ত আশা রাখি ।
হাটুরিয়া-নাকালিয়া বাজারের সিপন কামার বলেন, গত বছরেও এই সময়ে প্রচুর ক্রেতার চাপ ছিল। কিন্তু চলতি বছর কোরবানি উপলক্ষে কাজের চাপ খুবই কম। নতুন ছুরি, চাকু, চাপাতি বিক্রি অনেক কম, পুরাতন ছুরি, চাকু, চাপাতি শাণ করতেই কিছু সংখ্যক ক্রেতার দেখা মিলছে। হাটুরিয়া-নাকালিয়া কামার শিল্পীরা শেষ সময় ক্রেতার চাপ বাড়ার আশা প্রকাশ করছেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭