টঙ্গিবাড়ী প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সাংবাদিক খান আবু বকর সিদ্দিক এর বিরুদ্ধে ফের আদালতে মামলা হয়েছে। একই মামলায় অপর কথিত সাংবাদিক নবারুণ দাস গুপ্তকে আসামী করা হয়েছে। বিক্রমপুর টঙ্গিবাড়ী প্রেস ক্লাবের কোষাধক্ষ আপন সর্দার বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-৪ এ মঙ্গলবার (২ মে) এই এজাহার দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল ইউসুফ মামলাটি আমলে নিয়ে টঙ্গিবাড়ী থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার এজাহার সুত্রে জানাগেছে, গত ২৮ এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে উক্ত ২ বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বিবাদী বিক্রমপুর টঙ্গীবাড়ি প্রেসক্লাবের ক্যাচি গেটের তালা ভাঙ্গিয়া প্রেসক্লাবে ঢুকিয়া প্রেসক্লাবের মধ্যে থাকা এসপি কোম্পানির ল্যাপটপ যার মূল্য ৮০,০০০টাকা, ডিএসএলআর (কেনন কোম্পানির) ক্যামেরা যার আনুমানিক মূল্য ৬০,০০০ টাকা ও প্রেস ক্লাবের রেজুল্যাশন খাতাসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় বিক্রমপুর টঙ্গিবাড়ী প্রেসক্লাবের কোষাদক্ষ্য আপন সর্দার বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এর আগেও খান আবু বকর সিদ্দিক এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হলে সে ওই মামলায় দির্ঘদিন জেল খেটে জামিনে যান। এছাড়াও চাদাঁবাজির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে রাশেদা বেগম ,১৩ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মিলন মোল্লা, ২৪ মার্চ ২০১৮ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে টঙ্গিবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া ১৩ই আগষ্ট ২০১৮ এম এ জামাল হোসেন বাদী হয়ে টঙ্গিবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। এছাড়া গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী পলিসি করানোর নামে টাকা আতœসাৎতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিকবার মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। এনিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, প্রেসক্লাব হতে কোন ল্যাপটপ চুরি হয়নি। আমি কোন চুরির সাথে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা আভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই মামলার আইনজীবী এডভোকেট এসএম পারভেজ রনি বলেন, আমার মোয়াক্কেল প্রেসক্লাবে চুরির ঘটনায় বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টঙ্গিবাড়ী থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। প্রেসক্লাব একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান আমি চাই অনতিবিলম্বে প্রেসক্লাবের চুরি যাওয়া মালামাল গুলো উদ্ধার হোক এবং আসামীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।