টঙ্গিবাড়ী প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নোয়াদ্দা গ্রামে আবাদি জমির পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে সরকারী জমি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। এই রাস্তা নির্মাণের বিরুদ্ধে ওই এলাকার কতিপয় কৃষক রুখে দাড়ানোয় দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বেকু মেশিন ( খণণ যন্ত্র) ভাড়া করে এনে শুক্রবার সকাল হতে এ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করে ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আলি আকবর। পরে ভুক্তভোগী একই গ্রামের দ্বীন ইসলাম সেখ টঙ্গিবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিলেও শুক্রবার বিকালে ফের বেকু মেশিন দিয়ে মাটি খনন করে রাস্তার কাজ সম্পন্ন করেন আলি আকবর সেখ। গায়ের জোরে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারী সম্পত্তির উপর দিয়ে তার বাড়ি যাতায়াতের জন্য ব্যাক্তি উদ্যেগ্যে এ সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন তিনি। এনিয়ে গত এক সপ্তাহ আগে টঙ্গিবাড়ী থানায় দু-পক্ষ বসলে থানা কর্তৃপক্ষ সেদিন আলি আকবর সেখকে রাস্তা নির্মাণ করতে নিষেধ করলেও পরে থানা কর্তৃক্ষের সাথে সমঝোতা করেই এই সড়ক নির্মাণ করছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
ভুক্তভোগী দ্বীন ইসলাম খান বলেন, গায়ের জোড়ে আলি আকবর আমাদের পুকুর ও জমির পানি যাওয়ার স্থান বন্ধ করে দিয়ে সড়ক নির্মাণ করছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ মুক্ত থাকতে বন্ধের দিনে শুক্রবার সে কয়েকশত লোক ভাড়া করে জড়ো করে রেখে এ সড়ক নির্মাণ করছে। আলি আকবরের ছেলে রাসেল ও হাবিবুর বড় রামদা নিয়ে নির্মাণাধিক সড়কের পাশে বসে ছিল। তারা হুমকি দিচেছ কেউ আগাইয়া গেলে কেটে দু-টুকরা করে ফেলবে।
এ ব্যাপারে দ্বীন ইসলাম খানের ভাতিজা মামুন খান বলেন, সকালে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেন আলি আকবর সেখ। পরে আমরা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ দুপুরে কাজ বন্ধ করে দিলেও বিকালে আলি আকবর আবারো বেকু মেশিন লাগিয়ে রাস্তা কাজ শুরু করেন। পরে আমি টঙ্গিবাড়ী থানা এসআই মামুনকে অনেকবার ফোন দিলেও সে আর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি আরো বলেন, পরে নিরুপায় হইয়া আমি ৯৯৯ ফোন দিলে তারা ব্যবস্থা নেয়নি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলি আকবর সেখ সরকারী সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, রাস্তাটা আমার প্রয়োজন তাই বাধতেছি। সরকারী সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা বাধার অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে সে বলেন, আমি না আমাদের চেয়ারম্যান অনুমতি নিয়েছেন।
টঙ্গিবাড়ী সহকারী কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা আফরিন বলেন, আমি ইতিমধ্যে বিষয়টি দেখার জন্য স্থাণীয় চেয়ারম্যান ও তহসিলদারকে বলেছি। বিষয়টি সর্ম্পকে ওসিকে অবহিত করেছি। নায়েব ঘটনাস্থলে যাবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় তহসিলদার আবুল হাসেম বলেন, আমি যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানা এসআই আল মামুন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শুক্রবার দুপুরে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসছি।