কেএম সবুজঃ প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের নিঃশর্ত মুক্তিসহ তিনদফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস ও সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা।
অবরোধ কর্মসূচিতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত দে বলেন, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস ভাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রজ ছিলেন৷
সাংবাদিকদের কাজ হলো যে ঘটনা ঘটে তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। তিনি সেই কাজটিই করেছেন। তার নিউজে ছিল মানুষের চাল-ডাল ভাত-মাংসের স্বাধীনতার কথা। বাংলাদেশের যে শুধু একটি শ্রেণি, খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষরাই কষ্টে আছে বিষয়টি তা নয়। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও কষ্টে আছে। যারা এই রমজান মাসে পরিবার থেকে দূরে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। ক্লাস টিউশনি করছেন। মাসে চার-পাঁচ হাজার টাকার জন্য অনেক শিক্ষার্থী হলে থাকছেন। আপনারা জানেন আমাদের হলগুলোতে খাবারের কি অবস্থা। হলের ডাইনিংয়ের ডাল যে কি ডাল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানে কীভাবে শামস ভাইকে মুক্ত করতে হবে। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তির আগ পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখবো। শামস ভাই দিনমজুরের বরাতে যে কথা লিখেছেন, তা এদেশের কোটি কোটি মানুষের মনের কথা।
তিনি আরো বলেন, দেশে সত্য বললে তার গলা টিপে ধরার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে মুখ চেপে ধরার সাহস করলে আবার একটি গণঅভ্যুত্থান দেখবে এই দেশ। অনতিবিলম্বে শামস ভাই এর নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে তাকে তার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে, তানাহলে জাহাঙ্গীরনগরের এই আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে।
ছাত্র অধিকার পরিষদ জাবি শাখার সভাপতি জহির ফয়সাল বলেন, স্বাধীনতা দিবসে একটি রিপোর্ট করার অপরাধে শামসুজ্জামানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা বলতে চাই, দেশে আইয়ুব খানের শাসন চলছে নাকি? ইয়াহিয়া খানের শাসন চলছে নাকি? যদি তাই না হয়, তবে কেন একজন সাংবাদিককে স্বাধীনতা দিবসে রিপোর্ট করার জন্য তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অনতিবিলম্বে শামসুজ্জামানের মুক্তি চাই।
এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় পাশ বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা। ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। প্রায় আধা ঘণ্টা পর যাত্রীদের দুর্যোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭