শাহাব উদ্দীন (রাফেল), নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাতাসে বহিছে প্রেম,নয়নে লাগিলো নেশা কারা যে ডাকিলো পিছে,বসন্ত এসে গেছে,আজ পহেলা ফাগুন, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। কোকিলের কুহু কুহু গান শোনা যাচ্ছিল কয়েক দিন আগ থেকেই। শুকনো পাতা ঝরে জন্ম নিয়েছে নতুন কচি পাতার।
বসন্ত আসে আবেগঘন ও বর্ণিল আনন্দ বার্তা নিয়ে। কবি সাহিত্যিকরা বসন্তের রঙকে হলুদ রং হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাই গায়ে হলুদ আর বাসন্তী রঙের শাড়ি জড়িয়ে হাতে হাত রেখে বসন্তের এই আগমনী দিনে বেড়িয়ে পড়েন তরুণ-তরুণী সহ নানা বয়সের মানুষ।
বাঙালির জীবনের সঙ্গে একাকার হয়ে আছে বসন্ত। বসন্তের বন্দনা আছে কবিতা, গান, নৃত্য আর চিত্রকলায়। বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে।
দিনের বেলায় হালকা গরম অনুভব হলেও রাতে আর ভোরের দিকে হালকা শীতের হাওয়ার পরশ পাওয়া যায়। পাল্টে যাওয়া এ ঋতুতে সুস্থ, ঝলমলে ও প্রাণবন্ত থাকতে আমাদের সবাইকে পোশাক থেকে খাবারদাবার,স্বাস্থ্য থেকে ত্বক সবক্ষেত্রেই একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
প্রাণস্পন্দনে জেগে ওঠা প্রকৃতির নীরব উচ্ছ্বাস, বুনো ফুলের গন্ধমাখা দমকা হওয়া, এই চনমনে রোদ, আমের মুকুলে মুকুলে ভ্রমরের গুঞ্জন, বাঙালির হৃদয়ের গভীরেও জাগিয়ে তোলে এক অনির্বচনীয় ব্যাকুলতা।
এই ইটপাথরের কৃত্রিম নগরে বসন্তের লাবণ্যময় স্পর্শ কি লাগে কোথাও নিসর্গে বসন্তের বর্ণচ্ছটা শহরে তেমন সুলভ নয়। তবে মানবহৃদয় বসন্তের প্রভাব এড়াতে পারে না বলেই হয়তো আজ এই যান্ত্রিক নগরেও দেখা যায় নাগরিকদের বেশভূষায়, উৎসব আয়োজনে ঋতুরাজের আগমনী-উচ্ছ্বাস।
অনুভূতি পেয়ে যায় তার প্রকাশের ভাষা। বসন্ত তাই ভালোবাসার ঋতু বলেও সমাদর পেয়েছে বাঙালির কাছে।